নিউজ ডেস্ক ॥ নড়াইলের লোহাগড়ায় পল্লীবিদ্যুতের এজিএম (কম) গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তার অপসারন দাবী করেছেন নানা শ্রেণি-পেশার গ্রাহক। স্থানীয় গ্রাহকদের উদ্যোগে শনিবার (৩০মার্চ) বিকেলে লক্ষ্মীপাশা পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয়ে বিদ্যুৎ সেবার নানা অনিয়ম ও হয়রানী বন্ধে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এলাকার চিহ্নিত দালাল শ্রেণি ও অসৎ মানুষের সাথে সখ্যতা, গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচারণ, সেবা প্রদানে গড়িমসি এবং ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের অভিযোগ এনে গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ ও তার অপসারন দাবী করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পল্লীবিদ্যুতের পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ। এ সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট দৌলত আহমেদ খান, জেলা জাসদের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুুস ছালাম খান, এ্যাডভোকেট ও মুক্তিযোদ্ধা শরীফ মাহাবুবুল করিম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহসভাপতি শেখ কবির হোসেন, সাবেক সভাপতি অরবিন্দ আচার্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুল হক রোম, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান মোল্লা, মফিজুর রহমান,সাংবাদিক রূপক মুখার্জি, খায়রুল ইসলাম, মারুফ সামদানী, রেজাউল করিম, মাহফুজুল ইসলাম মুন্নু, শাহজাহান সাজু, বিপ্লব রহমান, ওবায়দুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া ও খায়রুল ইসলামসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৌলত আহমেদ খান তার বক্তব্যে বলেন, ‘এজিএম (কম) গোলাম রব্বানীর সঙ্গে দালাল, অসৎ ও খারাপ মানুষের সখ্যতা বেশি। তাদের সঙ্গে উঠাবসা। তাই সাধারণ গ্রাহকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে রব্বানীর আগে এখানে ছিলেন, তখন বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা ঝাড়– মিছিল করেন।’ আব্দুুস ছালাম খান বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে বিপাকে ফেলতে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজের সময়সহ ঘন ঘন বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখেন। গোলাম রব্বানী এখানে যোগদান করার পর এ অবস্থা চলছে।’
শরিফ মাহাবুবুল করিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে একটি এলাকায় বিদ্যুতের তার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বারবার বলার পরও সেদিকে খেয়াল নেই। অভিযোগকেন্দ্রে ফোন করলে ফোন ধরে না। আবার ফোন কেটে দেয়।’ সাংবাদিক শাহজাহান সাজু বলেন, ‘গোলাম রব্বানীর আচারণ খুবই খারাপ। মানুষ তার প্রতি অতিষ্ট।’ অরবিন্দ আচার্য ও ফয়জুল হক রোম বলেন, ‘আপনি নিজেকে সুধরাতে না পারলে দয়া করে এখান থেকে চলে যান। মানুষকে আর কষ্ট দিবেন না।’
‘এজিএম (কম) গোলাম রব্বানী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমার সেসব ভুল হয়েছে, তা ক্ষমার দৃষ্টিতে আপনারা দেখবেন। ভবিষ্যতে সঠিকভাবে চলার চেষ্টা করব।’
লোহাগড়া পল্লীবিদ্যুতে অনিয়ম-দুর্নীতি॥ এজিএম (কম) রব্বানীর অপসারন দাবী

Be the first to comment on "লোহাগড়া পল্লীবিদ্যুতে অনিয়ম-দুর্নীতি॥ এজিএম (কম) রব্বানীর অপসারন দাবী"