নিউজ ডেস্ক : শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ওপেনিং জুটিতে এসে গিয়েছিল ৯৫ রান। এরপরেই ছন্দপতন। তামিম ইকবালকে রিভিউ নিয়ে ফেরান রঙ্গনা হেরাথ। একটু এলোমেলো হয়ে পড়া ব্যাটিংয়ের হাল ধরলেন সৌম্য সরকার আর ইমরুল কায়েস। কিন্তু ষাটের ঘরেই থামলেন সৌম্য। এরপর আরও ৩ উইকেট হারিয়ে হঠাৎ বিপর্যয়ে পড়ে যায় উড়তে থাকা বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত পি সারা ওভালে নিজেদের শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করল টিম টাইগার। প্রথম ইনিংসে ৩৩৮ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিন শেষে ১২৪ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
চলতি সফরে গলে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে ১১৮ এবং ৬৯ রানের উদ্বোধনী জুটি উপহার দিয়েছিলেন তামিম-সৌম্য। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার দুজনের জুটি ৫০ অতিক্রম করল। শতাধিক রানের জুটির আশা জাগিয়েও ৪৯ রান করে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে যান তামিম ইকবাল। রঙ্গনা হেরাথের বলে জোরালো এলবিডাব্লিউয়ের আবেদনে প্রথমে সাড়া দেননি আম্পায়ার আলিম দার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বসেন হেরাথ। ফলাফল হিসেবে ৯১ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তামিমকে।
এরপরের শিকার সৌম্য সরকার। শুরুটা নড়বড়ে হলেও নিজেকে দ্রুত মানিয়ে নিয়েছিলেন। আউট হওয়ার আগের বলে সান্দাকানকে একটি দর্শনীয় বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। ৯৫ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫০ পূরণ করেন। টানা তিন ইনিংসে অর্ধশতক করা বাংলাদেশের দ্বিতীয় ওপেনার সৌম্য। ২০১০ সালে তামিম করেছিলেন টানা ৫ ইনিংসে। আজও সান্দাকানের বলে ১২১ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৬১ রান করে বোল্ড হয়ে যান সৌম্য।
এরপর ইনজুরি থেকে ফেরা ইমরুল কায়েসের সঙ্গী হন প্রথম টেস্টে বাদ পড়া সাব্বির রহমান। দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন দুজনেই। সাব্বির তার স্বভাবসুলভ ওয়ানডে স্টাইলে খেলে চলেন। তৃতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু ৭৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৪ রান করে সান্দাকানের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান ইমরুল কায়েস। তৃতীয় দিনের কথা মাথায় রেখেই হয়তো স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের না নামিয়ে ৫ নম্বরে নামানো হয় তাইজুল ইসলামকে। সান্দাকানকে হ্যাটট্রিকের সুযোগ দিয়ে তিনিও এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। কিন্তু সান্দাকান হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। সাব্বির রহমানের নতুন সঙ্গী হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সাকিব আসার পর সাব্বিরেরও বুঝি আর বেশি তর সইলো না। ৫৪ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪২ রান করে সুরিন্দ্র লাকমলের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। এখন উইকেটে আছেন আশা জাগানিয়া দুজন। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত ১১ রানে থারাঙ্গার ক্যাচ মিসে একবার জীবনও পান সাকিব। এখন সেই জীবনটাকে দীর্ঘায়িত করাই হবে তার লক্ষ্য। কারণ শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে এই জুটির দিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। যথারীতি আক্রমণত্বক ব্যাটিং করে সাকিব ৮ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৮ রানে অপরাজিত। আর ৭ বলে ২ রান করে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক মুশফিক।
Be the first to comment on "শেষবেলায় এমন ব্যাটিং বিপর্যয়!"