নিউজ ডেস্ক॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের খুনিরা দ্রুতই ধরা পড়বে। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে সরকার সব সময়ই আন্তরিক ছিল। গতকাল দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিক নেতাদের তিনি এসব কথা বলেন। এদিন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) পক্ষ থেকে সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়। আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা এবং খুনিদের গ্রেপ্তার করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাংবাদিক নেতারা। মন্ত্রীকে তারা জানান, এ পর্যন্ত ৬২ বার প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ পেছাতে আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও)। আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারি ৬৩ বারের মতো প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ঠিক করা রয়েছে। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, যে কোনো হত্যার বিচার পাওয়া নাগরিকের অধিকার।
আর সেই অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় বড় হত্যার রহস্য উন্মোচন ও অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করেছে। সাগর-রুনি হত্যার কোনো কূলকিনারা তারা করতে পারবে না- এটা আমরা বিশ্বাস করি না। কোন অদৃশ্য শক্তি বা বাধার কারণে এই হত্যাকাণ্ড তদন্তের নামে বছরের পর বছর কালক্ষেপণ করা হচ্ছে- সেটাই এখন বড় রহস্য। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল বারী, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মাহমুদ এ রিয়াত ও সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশাহ। এর আগে ২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনিকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। তিনি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের ধরার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। এরপর সাত বছর পেরিয়ে গেলেও খুনিরা রয়ে গেছে নাগালের বাইরে।
সাগর-রুনির খুনিদের দ্রুত ধরা হবে-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী!

Be the first to comment on "সাগর-রুনির খুনিদের দ্রুত ধরা হবে-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী!"