নিউজ ডেস্ক : কেউ পছন্দ করেন রাজকীয় ভাবে থাকতে। কেউ পছন্দ করেন মড লুকিং বাড়ি। শাহরুখের ‘মন্নত’ রাজপ্রাসাদ হলে সলমনের ‘গ্যালাক্সি’ আল্ট্রা মর্ডান ছিমছাম অ্যাপার্টমেন্ট। তা হলে অক্ষয়-টুইঙ্কলের নতুন বাড়িকে কী বলা যায়? রাজকীয় থেকে ছিমছামের দারুণ সংমিশ্রণ বলা যেতে পারে নির্দ্বিধায়। তবে চমকটা লুকিয়ে রয়েছে অন্য জায়গায়। আসলে নিজের হোম ডেকর বুটিকের অভিজ্ঞতাটা এখানে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন অক্ষয়-ঘরণী। আজ্ঞে হ্যাঁ। পশ্চিম আন্ধেরির এই বাড়ির অন্দরমহলের সজ্জার দায়িত্বে ছিলেন খোদ টুইঙ্কল। চলুন দেখে নেওয়া যাক কেমন সেই বাড়ির ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং?
ছোটবেলাটা মুম্বইয়ের বিখ্যাত ‘আশীর্বাদ’ ভিলায় কেটেছিল টুইঙ্কলের। সেই বাড়িতে ছিল বিশাল বাগান। ডাইনিং রুমের পাশেই ছিল একটা আম গাছ। ছাদে উঠলেই আম পাড়া যেত। ছোটবেলার সুন্দর সেই স্মৃতিগুলো ফিরে পেতে চেয়েছিলেন টুইঙ্কেল। নতুন বাড়িতে তাই নিজের হাতে প্রচুর গাছ লাগিয়েছেন তিনি। বাড়ির সামনে রয়েছে আর্টিফিসিয়াল পুকুরও। শুধু তাই নয়, বাড়ির সামনে দাঁড়ালেই
সামনে দিগন্ত বিস্তৃত আরব সাগরের অপূর্ব ভিউ।
বাড়ির জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ— সবটাই নিজের হাতে করেছেন ট্যুইঙ্কেল। এমনকী বাড়ির ড্রাফ্টিং, আর্কিটেকচার্যাল প্ল্যান, শো-পিস টু শো-কেস— সবটাই একা সামলেছেন নায়িকা।
‘মাদার অ্যান্ড সন’ কনসেপ্টে তৈরি পুরো বাড়িটা। রয়েছে এমনই মাদার মেরি আর ছোট্ট যেসাসের মূর্তিও। ঘর সাজানোর জন্য স্পেন থেকে এই মূর্তি কিনে এনেছিলেন খোদ অক্ষয় কুমার।
ছোট্টবেলার ডাইনিং স্পেসের পাশের সেই আম গাছটার কথা ভুলতে পারেননি টুইঙ্কল। নতুন বাড়ির ডাইনিং স্পেসটাও তাই সবুজের মধ্যেই।
প্রকৃতির মধ্যে গা ঘেঁষে রয়েছে খাওয়ার জায়গা। সঙ্গে মানানসই সমস্ত বাসনও। এই বাড়ির সমস্ত বাসনই কাঁসার।
দেওয়ালে ‘ইন্ডিয়ান জেমস বন্ড’-এর ছবি। অক্ষয়ের ৪০তম জন্মদিনে এই পেইন্টিংটি তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন টুইঙ্কল।
ড্রয়িংরুমে ১৩টি পেনডেন্ট ল্যাম্প। নীচে কাঠের মেঝেতে ছোট্ট ইন্ডোর পন্ড।
এমন বুক সেল্ফ দেখেছেন কখনও? সিঁড়ির তলার বাতিল জায়গাও টুইঙ্কলের ইনটেরিয়রে এখন ইনোভেটিভ বই রাখার জায়গা।
ছিমছাম লিভিং রুম। খেলা করে বেড়াচ্ছে ২ বছরের মেয়ে নিতারা।
ইউনিক স্ক্যাল্পচারে আরও সুন্দর হয়েছে বাড়ির সম্পূর্ণ ভিউ।
সূত্র : আনন্দবাজার প্রত্রিকা
Be the first to comment on "অক্ষয়-টুইঙ্কলের ঘরের ইন্টেরিয়র দেখলে চমকে যেতে পারেন"