নিউজ ডেস্ক : কানাডা থেকে গত দু’বছরে ২৪০ তরুণ-তরুণী আইসিসে (ইসলামিক স্টেট) যোগদান করেছে। এরমধ্যে কমপক্ষে ৬০ জন কানাডায় প্রত্যাবর্তন করে তাদের মতাদর্শের লোকজনকে সন্ত্রাসে উদ্বুদ্ধ করছে। কানাডাতেও সন্ত্রাসী হামলার এহেন আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছে ২৫ আগস্ট প্রকাশিত সরকারি গেজেটে। কানাডার সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের প্রধান একই উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কানাডা সিনেট কমিটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর বক্তব্য উপস্থাপনকালে।
রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, দেশ ত্যাগের পর জঙ্গি হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী হামলায় অংশগ্রহণকারী এসব কানাডিয়ানের প্রতি পাঁচজনের একজনই হচ্ছে তরুণী। অনেকে স্বামী ও সন্তানসহ ‘আইসিস’-এ যোগ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কানাডাসহ পশ্চিমাদেশগুলো বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন নিজ দেশের লোকজনের আইসিসে যোগদানের সংবাদে। এসব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরো বেশি তটস্থ, এসব লোকজন ট্রেনিং গ্রহণের পর নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করে মারাত্মক কোনো হামলা চালায় কি না সে আশঙ্কায়। কানাডার গোয়েন্দারাও সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। এ মাসের গোড়ার দিকে ২৪ বছর বয়সী এক যুবক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কানাডা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেয় যে, আইসিসের অনুসারীরা কানাডায় হামলার ষড়যন্ত্র করছে। এরপরই অন্টারিও’র ছোট্ট একটি শহরের সন্দেভাজন ওই যুবককে পুলিশ চার্জ করতে গেলে সে নিজের সাথে রাখা বিস্পোরক ফাটিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে। এর দু’বছর আগে অটোয়া পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে গুলি বর্ষণকালে এক বন্দুকধারীকে কানাডার পুলিশ হত্যা করতে সক্ষম হয়।
শিশুসন্তানসহ কানাডা ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে সিরিয়ায় গিয়ে যেসব তরুণী আইসিসে যোগ দিয়েছে, তারা মূলত সন্ত্রাসে লিপ্ত যুবকদের বিয়ে করেছে। এরপর তারা কিভাবে দিনাতিপাত করছে সে ব্যাপারে কানাডা পুলিশের কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই। তবে কেউ কেউ সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ কানাডা থেকে তাদের পরিচিতদের আইসিসে যোগ দিতে উৎসাহিত করছে।
কানাডা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত সন্ত্রাসী হিসেবে মোট ২০ কানাডিয়ানকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আরো ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে।
Be the first to comment on "আইসিসে ৫০ তরুণীসহ ২৪০ কানাডিয়ান"