নিউজ ডেস্ক : কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় আটটি নৌকাসহ অন্তত ৯৭ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার ভোর রাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা ও বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে এ অভিযান চালানো হয় বলে বিজিবি জানিয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষাবাহিনীর তিনটি নিরাপত্তা চৌকিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার পর দেশটির সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। সেই থেকে রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা প্রায় প্রতিদিন সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গাবাহী নৌকা ফেরত পাঠাচ্ছে। তারপরও তাদের চোখ এড়িয়ে এদেশে ঢুকে পড়ছে তারা। বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আবু রাসেল সিদ্দিকী জানান, নাফ নদীর জলসীমার জিমংখালী, উনচিপ্রাং ও নায়াপাড়া পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা আটটি নৌকায় করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় বিজিবির টহল দল শূন্যরেখা থেকে তাদের মিয়ানমারের দিকে ফেরত পাঠায়। এ আট নৌকার প্রতিটিতে ১০ থেকে ১৫ জন করে রোহিঙ্গা ছিল। সে হিসাবে এসব নৌকায় অন্তত ৮০ জন রোঙ্গিা ছিল বলে জানান রাসেল।
তিনি আরও জানান, এ নিয়ে ডিসেম্বর মাসে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গাদের বহনকারী ৫১৫টির বেশি নৌকা ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত উখিয়ার বালুখালী, আঞ্জুমান পাড়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় ১৭ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে ডিসেম্বর মাসে উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় অন্তত ৪৩৩ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়ন।
Be the first to comment on "আট নৌকাসহ অন্তত ৯৭ রোহিঙ্গাকে ফেরত"