নিউজ ডেস্ক : গাজীপুরের টঙ্গীতে ‘আল্লাহ আকবার’ বলে চিৎকার দিয়ে মন্দিরে হামলা চালিয়েছে সঞ্জয় সাহা (২৮) নামে এক হিন্দু যুবক। এসময় ওই দুর্গামন্দিরের পুরোহিত অনিল কুমার ভৌমিককে মারধর ও প্রতীমায় লাথি মেরে ভাংচুরের চেষ্টা চালায়।
সোমবার সকালে টঙ্গী বাজারেরে শ্রী শ্রী দুর্গামন্দিরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।
সঞ্জয় সাহার (২৮) বাবা গণেশ সাহা টঙ্গীর জামাইবাজারের সফিকুলের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
মন্দিরের পুরোহিত অনিল কুমার ভৌমিক ও এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিনের ন্যায় মন্দিরে তিনি পূজা অর্চনা করছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৫-৬ জনের একদল যুবক হঠাৎ ‘আল্লাহ আকবর’ বলে চিৎকার করে মন্দিরে হামলা চালায়। এসময় সঞ্জয় সাহা মন্দিরে প্রবেশ করে মূর্তি ভাংচুর করা জন্য উপর্যুপরি লাথি মারতে থাকে। এতে বাধা দিলে সে পুরোহিতকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সঞ্জয়কে আটক করলেও তার সঙ্গে থাকা অপর সহযোগিরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে টঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সঞ্জয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার নাম সঞ্জয় সাহা এবং পিতার নাম গণেশ সাহা বলে জানায়। কিন্তু থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা পর সে তার নাম মোবারক হোসেন ও পিতার নাম আবদুল্লাহ বলে জানায়। পরে পুলিশের লোকজন সঞ্জয়দের ভাড়া বাসা টঙ্গীর জামাইবাজার সফিকুলের বাড়িতে গিয়ে তার নাম সঞ্জয় বলেই সত্যতা পায়।
সঞ্জয়ের বাবা গণেশ সাহার বরাত দিয়ে টঙ্গী থানা পুলিশ জানায়, সঞ্জয় গত ২০১১ সালে বাড়ির কাউকে কিছু না বলেই উধাও হয়ে যায়। এঘটনায় তখন টঙ্গী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও স্থানীয় এমপিকে জানানো হয়। পরে গত দেড় বছর আগে সঞ্জয় বাসায় ফিরে আসে। কিছুদিন থাকার পর আবারো বাসা থেকে পালিয়ে যায়। পরে গত দেড় মাস আগে ফের বাসায় আসে।
তিনি আরো জানান, তারপর থেকে সে ইসলামী রীতিনীতি পালন করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে চাপ প্রয়োগ করা হলে তার বাবার মুঠোফোনে একটি ফোন আসে। তখন বলা হয় ‘সে (সঞ্জয়) যা করতে চায়, তাই করতে দিন’ না হয় আপনাদের ক্ষতি হবে। ক্ষতির ভয়ে তারা ঘটনাটি থানা পুলিশে জানায়নি। তবে তার জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য র্যাব-১ এর সদস্যরা টঙ্গী থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
‘আল্লাহ আকবার’ বলে মন্দিরে হামলা, হিন্দু যুবক আটক

Be the first to comment on "‘আল্লাহ আকবার’ বলে মন্দিরে হামলা, হিন্দু যুবক আটক"