নিউজ ডেস্ক: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্মূলে এইচআইভি সংক্রমণ মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এইচআইভি/এইডস নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, “এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি শনাক্তকরণে বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগীদের কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।”
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার শেষ হওয়া তিনদিনের এই বৈঠকে এইডস নির্মূলে নতুন একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার গৃহীত হয়।
ঘোষণায় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এইচআইভি ও এইডসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রগতি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এই মহামারী নির্মূলে বেশ কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সচিব রাজনৈতিক অঙ্গীকারের পাশাপাশি এইডস মোকাবেলায় সদস্য দেশগুলোর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক মূল্যবোধগুলো মেনে চলার ওপরও জোর দেন।
সচিব মনজুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে এইডসের ব্যাপক বিস্তার সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে দৃঢ় অংশীদারিত্ব এবং দ্রুত শনাক্তকরণের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণ বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের মাঝে এই রোগ শতকরা শুন্য দশমিক এক ভাগের নিচে রাখতে সাহায্য করেছে।
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে কার্যকরভাবে এইচআইভি প্রতিরোধী সেবা প্রদান এবং তাদের সহায়তা চালিয়ে যেতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এরপরেও উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য সচিব।
সমন্বিত মডেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে কমিউনিটিভিত্তিক এইচআইভি পরীক্ষা ও সেবার মাধ্যমে ঝুঁকি শনাক্তকরণের কার্যক্রম বাড়ানোর কথা বলেন তিনি।
এইচআইভি প্রতিরোধে জাতিসংঘ উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, এইচআইভি আক্রান্ত এবং সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, বিজ্ঞানী ও গবেষকরা অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীরা এইডস প্রতিরোধে আগামী পাঁচ বছরে বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারণ করা ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ লক্ষ্যগুলোর ওপর জোর দেন।
এগুলোর মধ্যে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত পাঁচ লাখ কমিয়ে আনা এবং এইডসে মৃত্যু অন্তত পাঁচ লাখ কমিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে।
Be the first to comment on "এইডস নির্মূলে বৈশ্বিক সহায়তা চায় বাংলাদেশ"