শিরোনাম

একুয়েডরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৭

নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকার দেশ একুয়েডরের উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে অন্তত ৭৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তরের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায়, (বাংলাদেশ সময় ভোর ৫ টা ৫৮) এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য আসছে।

প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেরা ছয়টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করে ন্যাশনাল গার্ডকে উদ্ধার কাজে পাঠিয়েছেন।

এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল উপকূলীয় শহর মুইসেন থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৯ কিলোমিটার গভীরে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবল ঝাঁকুনিতে রাজধানী কিটোর বাসিন্দারা আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে। গুয়ায়াকিল শহরে একটি ওভারপাস ধসে পড়ে।

কিটোর বাসিন্দা জোলিয়া ভিলেনাকে উদ্ধৃত করে বিবিসি লিখেছে, “আমার বাড়ি নড়ছিল, জিনিসপত্র ছিটকে পড়ছিল আর বাচ্চারা কাঁদছিল। আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি।”

ভূমিকম্পের পর প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার ও প্রতিবেশী দেশ পেরু সুনামি সতর্কতা জারি করে।

সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রাজধানী কিটোর একটি অংশ বিদ্যুৎহীন সাময়িকভাবে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।মান্তা শহরে বিমানবন্দরের একটি টাওয়ারও ভেঙে পড়েছে বলে খবর দিয়েছে বিবিসি।

স্থানীয় দৈনিক এল টেলেগ্রাফো জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা ৫৮৮ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। দুর্গতদের জন্য খোলা হয়েছে পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্র।

সন্ধ্যার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর দফায় দফায় মৃদু ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে সেখানে। বহু মানুষকে রাত কাটাতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে।

দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হোর্হে গাস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জানমাল রক্ষায় জরুরি বিভাগ, পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

কলোম্বিয়াতেও এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সেখানে একটি ক্লিনিক থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রশান্ত মহাসাগরে ‘রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠা ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় একুয়েডরের অবস্থান। ১৯৭৯ সালের পর সেখানে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা।

basic-bank

Be the first to comment on "একুয়েডরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৭"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*