নিউজ ডেস্ক : মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া মীর কাসেম ‘নিখোঁজ’ ছেলে আহমেদ বিন কাসেমকে পেলে প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা।
আজ কাশিমপুর কারাগারে মীর কাসেমের সঙ্গে দেখা করতে যায় পরিবার। সেখানে ছিলেন মীর কাসের স্ত্রী খন্দকার আয়েশা, দুই মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া ও তাহেরা তাসনিম, পুত্রবধূ শাহেদা তাহমিদা ও তাহমিনা আক্তার এবং ভাতিজা হাসান জামাল।
কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মীর কাসেমের পরিবার দুই ঘণ্টার বেশি সময় তার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর বেরিয়ে এসে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তারা ঢাকার পথে ফিরে আসেন।
এর আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মীর কাসেমের স্ত্রী বলেন, ‘আমার ছেলে অ্যাডভোকেট আহমেদ বিন কাসেমকে সাদা পোশাকের লোক তুলে নিয়ে গেছে। তাকে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা প্রাণভিক্ষা বা অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।’
গত ১০ আগস্ট মীর কাসেমের পরিবার আহমেদ বিন কাসেমক সাদা পোশাকের লোকেরা তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে। কিন্তু পুলিশ জানায়, এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
এ দিকে মানবতাবিরোধী অপরাধে করা মামলায় আইনী লড়াইয়ের আর কোনো সুযোগ নেই মীর কাসেমের। তার সব ধরনের আইনী প্রক্রিয়া এর মধ্যেই শেষ হয়েছে। তার সর্বশেষ সুযোগ হলো, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া।
বুধবার সকালে মীর কাসেমকে রিভিও আবেদন খারিজ করে তার ফাঁসি বহাল রাখার ব্যাপারটি জানানো হয়। তাকে ট্রাইব্যুনালের রায় পড়ে শোনানো হয়।
Be the first to comment on "কাসেম পত্নী: ছেলেকে পেলে প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্ত"