শিরোনাম

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত

নিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বশিরুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ মামলা আমলে নেওয়ার আদেশ কেন অবৈধ এবং বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও এ জে মোহাম্মদ আলী।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে হয় রাষ্ট্রের কোনো কর্মকর্তার। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মামলা করেছেন একজন সাধারণ নাগরিক। আইন অনুযায়ী, মামলার প্রক্রিয়াগত সমস্যা ছিল। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো কোনো বিষয় ছিল না। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত মামলা স্থগিত করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। ঢাকার মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালত বিষয়টির ওপর শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

গত বছরের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। তিনি বলেন, ‘আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। ‘

এরপর ২৩ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে দেশদ্রোহী মনোভাব পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান তিনি।

আবেদন পর্যালোচনা করে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই অনুমোদনের চিঠি হাতে পেয়ে বিচারিক আদালতে মামলা করেন মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*