নিউজ ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করেছেন, বিএনপিকে নিঃশেষ করতেই গুলশান থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে সরাতে চাচ্ছে সরকার।
বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ছেলে আরাফাত আব্দুল্লাহ অন্তরের সুস্থতা কামনায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে যুবদল।
গয়েশ্বর বলেন, ‘সরকারকে গ্যারান্টি (নিশ্চয়তা) দিতে হবে গুলশান থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় সরানো হলে এ ধরনের (জঙ্গি হামলা) ঘটনা ঘটবে না। তাহলে আমরা কার্যালয় সরিয়ে নেবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কূটনৈতিক এলাকায় যেমনিভাবে নিরাপত্তা দেওয়া দায়িত্ব তেমনি জনগণের নিরাপত্তা দেয়াও সরকারের দায়িত্ব।’
রাজনৈতিক কার্যালয় গুলশান থেকে সরিয়ে দিলে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ হয়ে যাবে সরকারের সঙ্গে এমন কোনো চুক্তি হয়েছে কী-না এটা জানা দরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গুলশাল ও শোলাকিয়ার ঘটনার পর উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সারা জাতি আতঙ্কিত। জাতি এখন ঐক্যবদ্ধভাবে এ সমস্যা সমাধনের পথ খুঁজছে। বিএনপি নেত্রী নি:স্বার্থভাবে সংগঠন সমাধানের জাতীয় ঐক্যে কথা বলেছেন। কিন্তু তাকেই বলা হচ্ছে জঙ্গিবাদের নেত্রী। জঙ্গিবাদ নির্মূলে সরকারের আদো ইচ্ছা নেই।’
গণতন্ত্রের পথ উন্মুক্ত করে সকল দলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জঙ্গি দমনের অবদান রাখার সুযোগ করে দেওয়া জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান গয়েশ্বর।
আলোচনা শেষে রিজভী ও অন্তরের সুস্থতায় কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক। মোনাজাতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবদলের সিনিয়র সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদের সভাপতিত্বে আর অংশ নেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, যুবদলের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, উত্তরের সহ-সভাপতি কফিল উদ্দিন ভুইয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য গিয়াস উদ্দিন মামুন; ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।
Be the first to comment on "‘গুলশানে বিএনপি কার্যালয় সরাতে চায় সরকার’"