শিরোনাম

গুলশান হামলা: আরো ৪ সন্দেহভাজনের ভিডিও প্রকাশ (ভিডিওসহ)

নিজস্ব প্রতিবেদক : গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে চিহ্নিত করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এই চারজনকে ১ জুলাই রাতে গুলশান হামলার দিন রেস্তোরাঁর সামনের সড়কে দেখা গিয়েছিল। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে র‍্যাব এদের চিহ্নিত করেছে। এই চারজনের ভিডিও ফুটেজও র‍্যাব তাদের ফেসবুক পেজে আপলোড করেছে। র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে তাদের ধরিয়ে দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। চারজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। এর পাশাপাশি সিলভার রঙের একটি মাইক্রোবাসকেও সন্দেহ করছে র‍্যাব।

মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাবের অনলাইন মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পৃষ্ঠায় ওই ভিডিও প্রকাশ করা হয়।

ওই পোস্টে লেখা হয়, “গুলশানের হামলার সাথে জড়িত সন্দেহভাজন চারজনকে নির্ণয়। এদের পরিচয় জানা থাকলে দ্রুত র‍্যাবের যে কোনো নিকটস্থ ব্যাটালিয়ন অথবা ক্যাম্পে অবহিত করুন। মোবাইল: ০১৭৭৭৭২০০৫০। ৭৫ ও ৭৯ নম্বর সড়কে বসানো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ওই ভিডিওতে সময় দেখানো হয়েছে ১ জুলাই রাত ৮টা ৪২ থেকে ৯টার মধ্যে। ওই সময়ের মধ্যেই কূটনীতিক পাড়া গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে বিদেশিদের কাছে জনপ্রিয় ওই ক্যাফেতে জঙ্গিরা ঢুকে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে। তাদের মোকাবেলায় গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর জঙ্গিরা ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে।

প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ওই অভিযানে ছয় হামলাকারী নিহত এবং একজনকে আটক করা হয় বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

ওই ভিডিওর বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গিরা পায়ে হেঁটে এক এক করে হলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকেছিল।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মোহাম্মদ মুফতি মাহমুদ জানিয়েছেন, ভিডিও দেখে এই চারজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে। তারা ওই দিনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। ভিডিও দেখে কেউ এদের শনাক্ত করতে পারলে ধরিয়ে দিতে তিনি অনুরোধ করেন। ভিডিওতে এই চারজনকে কয়েকবার আসা-যাওয়া করতে দেখা গেছে। একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। এরা একটি জায়গাতেই অবস্থান করছিল।

 

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "গুলশান হামলা: আরো ৪ সন্দেহভাজনের ভিডিও প্রকাশ (ভিডিওসহ)"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*