নিউজ ডেস্ক : দেশটির সরকার সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে। জনসম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে ঘূর্ণিঝড় নেপারতাক মূল আঘাতটি হানে। ওই প্রদেশেই নয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির কারণে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি মার্কিন ডলার। ১৬ হাজার হেক্টর জমির শস্যও ধ্বংস হয়ে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নয়শতাধিক বাড়ি-ঘর। নেপারতাকের আঘাতে তাইওয়ানে অন্ততপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন তিনশতাধিক মানুষ। চীনের মধ্যাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চলে নেপারতাকের কারণে প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে এই সময়ে ঘূর্ণিঝড় একটি সাধারণ বিষয়। চীনে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটত। কিন্তু বর্তমানে চীনা সরকার ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বসতর্কতা হিসেবে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কারণে অনেক প্রাণ বেঁচে গেছে।
এরআগে নেপারতাক তাইওয়ানে আঘাত হানে। গেল শুক্রবার ভোরে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়। পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
প্রায় ১৫,৪০০ মানুষকে ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে রক্ষা করতে তাদের বাড়ি-ঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
৫ নম্বর ক্যাটাগরির এই ঘূর্ণিঝড়কে সামনে রেখে তাইওয়ানের উপকূল থেকে হাজার হাজার পর্যটককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
Be the first to comment on "ঘূর্ণিঝড় নেপারতাকের আঘাত॥ চীনে মৃত্যু ৯"