নিউজ ডেস্ক: চিনিকল সংস্কারে ১০১ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় এক লাফে বাড়ছে তিনগুণ। একই সঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে বাস্তবায়নের মেয়াদকাল। ঠাকুরগাঁও চিনিকলের সংস্কার শীর্ষক প্রকল্প প্রথম সংশোধনী অনুমোদন করা হচ্ছে। এর ফলে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ৪১১ কোটি ১০ লাখ টাকায়।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করা হচ্ছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, শিল্প মন্ত্রণালয় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ানোর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ দেখিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সংশোধনী প্রস্তাবনায় বলা হয়, প্রকল্পের পূর্ত কাজ ও নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন, রেট শিডিউল পরিবর্তন এবং কলেবর বৃদ্ধির কারণে প্রস্তাবিত অর্থের প্রয়োজন। কমিশন যাচাইপূর্বক এই প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর সমর্থন করেছে।
জানা গেছে, প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে চিনিকলটির বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ সাশ্রয়, সাদা চিনি উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে রেকটিফাইড স্পিরিট, জৈব সার ও বাড়তি বিদ্যুৎ বিক্রয় করে অতিরিক্ত রাজস্ব আয় বাড়বে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মিলটির চিনি উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পাবে। বায়ো-কম্পোস্ট উৎপাদনপূর্বক পরিবেশ দূষণ রোধ ও জমির ঊর্বরতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। গত জুন মাসে সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১৯৫৮ সালে ঠাকুরগাঁও সদরে এক হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই ক্ষমতাসম্পন্ন এই চিনিকলটি স্থাপিত হয়, যা ১৯৬৬ সালে সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫২৪ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হয়।
পরবর্তীতে ১৯৮৩-৯২ সালে কিছু নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হলেও চিনিকলটির ব্যাপকভিত্তিক আধুনিকায়ন হয়নি। ফলে দীর্ঘ সময় চলার কারণে চিনিকলটির অধিকাংশ যন্ত্রপাতি জরাজীর্ণ ও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে দক্ষতা হ্রাস পেয়েছে।
সূত্র: জাগো নিউজ
Be the first to comment on "চিনিকল সংস্কারে ব্যয় বাড়ছে তিনগুণ"