নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি হামলার গুজব ছড়ানো ফৌজদারি অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া| বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির প্রধান কার্যালয়ে জাপানি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, জঙ্গি হামলার গুজব ছড়ানো ফৌজদারি অপরাধ। যারা এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, ‘একটি কু-চক্রী মহল বিভিন্নভাবে সোস্যাল মিডিয়া, ওয়েব সাইট, টেলিফোনে, এসএমএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। গুজব ছড়ানো হচ্ছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলা হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামলা হবে, অমুক শপিং মলে হামলা হবে। এমন গুজব যারা ছড়াচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতেই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া, দেশে একটা ঘোলা পরিবেশ তৈরি করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা।
গুজব রটানোর বিষয়টি পুলিশ ক্লোজ মনিটরিং করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের গোয়েন্দা পুলিশ, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটসহ বিভিন্ন মাধ্যমগুলো নজরদারি করছে। কারা এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে।
গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারি ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সব ইউনিটের সদস্যরা নজরদারি করছে। বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
শপিং মল, রেস্টুরন্ট, হোটেল ও বিভিন্ন স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তার দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।
আতঙ্কের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানী ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুরো শহরে নিরাপত্তার জাল বিছানো হয়েছে। কোনোভাবেই জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ করতে দেবো না।
অকারণে গুজব ছড়াবেন না উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কারও কাছে যদি তথ্য থাকে, তা পুলিশকে জানান।’
Be the first to comment on "জঙ্গি হামলার গুজব ছড়ানো ফৌজদারি অপরাধ"