নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের পাশাপাশি নিজ নিজ উদ্যোগে নিরাপত্তা বাড়িয়েও ব্যবসায়িক লোকসান কাটাতে পারছে না, রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ও অভিজাত রেস্তোরাগুলো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে বিদেশিদের বাংলাদেশ সফরে অনীহার পাশাপাশি অগ্রিম বুকিং অর্ডার বাতিল করেছেন সম্ভাব্য অতিথিরা। একইসাথে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সভা-সেমিনারসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনেও ভাটা পড়েছে। সার্বিকভাবে অভিজাত এসব হোটেল ও রেস্তোরাগুলো পরিচালনা ব্যয় বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
স্বাভাবিক সময়ে রাজধানীর অভিজাত রেস্তোরাঁগুলো অতিথিদের পদচারণায় মুখরিত থাকে। অতিথিদের আতিথেয়তা দিতে গিয়ে দম ফেলার ফুসরত পান না রেস্তোরাঁ কর্মীরা। কিন্তু সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা বদলে দিয়েছে সবকিছু। অতিথির অভাবে রেস্তোরাঁগুলোতে নেই আগের কর্মচাঞ্চল্য। প্রায় একই চিত্র পাঁচ তারকা মানের হোটেলগুলোর। সম্প্রতি বাংলাদেশে বিশ্বের ৪৮টি দেশের প্রায় ৫শ’ প্রতিনিধির অংশগ্রহণে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ-এপিজি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে তা বাতিল করা হয়েছে। এতে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচ তারকা হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো।
রাজধানীর ভিলেজ রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান জানান, ‘সম্প্রতি জঙ্গি হামলার ঘটনার পর হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোর লাভ অনেক পিছিয়ে গেছে। প্রায় ৬০ শতাংশ অতিথি ছিল বিদেশি। তাদের পদচারণয় মুখর ছিল হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো। সম্প্রতি এসব ঘটনায় হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো এখন পথে বসার অবস্থায় চলে গেছে।’
এদিকে অতিথিদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে হোটেল কর্তৃপক্ষের নেয়া পদক্ষেপ অনেকটা চোখে পড়ার মতো। তাদের প্রত্যাশা সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এ প্রসঙ্গে অ্যাবাকাস রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক কড়া করা আছে। সিসি ক্যামেরা রয়েছে। চেক করে ঢুকানো হচ্ছে। তারপরও মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে। সরকার যেভাবে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে আমরা আশাবাদী অতি শিগগিরই একটা ভালো কিছু দেখতে পারবো।’
দেশে পর পর দুটি জঙ্গি হামলার ঘটনায় রাজধানীর গুলশান ও বারিধারা এলাকায় অবস্থিত হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোর ব্যবসা অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
Be the first to comment on "রাজধানীর অভিজাত রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় ধস"