নিউজ ডেস্ক: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্যদের মেয়াদ হবে ৩ বছর-এ মর্মে ২০১৬ সালের জারি করা প্রজ্ঞাপন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে ওই প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, যুগ্ম শিক্ষা সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও কলেজ পরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা জানান, ম্যানেজিং কমিটির বিষয়ে ২০১৫ সালের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা আছে, অধিভূক্ত কলেজ সমূহের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ হবে ৪ বছর। এর আগে ১৯৯৪ সালের আইনে কমিটির মেয়াদ ছিল ৩ বছর সেটা বাতিল করে ২০১৫ সালের প্রজ্ঞাপনে ৪ বছর করা হয়।
কিন্তু ২০১৬ সালের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কলেজসমূহের সভাপতি ও বিদ্যোৎসোহী সদস্যর মেয়াদ হবে ৩ বছর তবে কমিটির অন্য সদস্যদের ক্ষেত্রে ৪ বছর মেয়াদ বলবৎ থাকবে।
মাসুদ রানা জানান, ২০১৬ সালের ওই প্রজ্ঞাপনে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৬ জুন হাইকোর্টে রিট করেন সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের অভিভাবক প্রতিনিধি আইয়ুব আলী।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে ২০১৬ সালের প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। এর ফলে ২০১৫ সালের জারি করা প্রজ্ঞাপন বহাল আছে বলে জানান অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।
Be the first to comment on "জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাপন হাইকোর্টে স্থগিত"