নিউজ ডেস্ক : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মেয়ের সম্ভ্রম রক্ষা করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় দুই পা হারানো মামলার প্রধান আসামি মেম্বার কামাল হোসেনসহ ১৩ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে ঝিনাইদহের আমলী আদালতে (কালীগঞ্জ) তারা আত্মসমর্পণ করে। এরপর তারা আাদলতের কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামান তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আসামিদের আত্মসমর্পণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেম্বার কামাল হোসেন একই গ্রামের বিল্লাল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, ইমদাদুল ইসলাম, হাসান আলী, মোতালেব হোসেন, টুকু মিয়াসহ ১৩জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে। গত ৯ নভেম্বর কালীগঞ্জ থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন দুই পা হারানো শাহনুরের ভাই সামাউল ইসলাম। এর আগে আজ বুধবার ভোরে কোরবান আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত রবিবার ছেলে লিখন ও আরেক উত্ত্যক্তকারী বর্তমান মেম্বার কামালের ভাই আজাদকে আটক করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার হামলার আসামিদের ৭২ ঘন্টার মধ্যে কারাবন্দী করতে হাইকোর্টের বিচারপতি রেজা-উল হক ও মোহাম্মদ উল্লাহ দৈত বেঞ্চ নির্দেশ প্রদান করে এবং ২৭ নভেম্বর এর মধ্যে আসামিদের কারাবন্দী করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
Be the first to comment on "ঝিনাইদহের সেই ১৩ আসামির আত্মসমর্পণ"