নিউজ ডেস্ক : অর্থপাচারের দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমিন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি এ বি এম হাসানের ডিভিশন বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়। আদালতের এ আদেশের ফলে তাদের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে গ্রহণ করা অভিযোগপত্র (চার্জশিট) বহাল রইল। নিম্ন আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে গত ১৭ নভেম্বর ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন আপিল আবেদন করেন। সে দিনই আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি শেষে আদালত ২৪ নভেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী আজ এই আদেশ দেওয়া হলো।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির ২৩ কর্তাব্যক্তির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। ২২ মাস পর ২০১৪ সালের ৪ মে দাখিল করা অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় ৫৩ জনকে। ৪ হাজার ১১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং এর মধ্যে ৯৬ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। এর আগে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এই দুই আসামির বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলার অভিযোগ গঠন করে। এই অভিযোগ আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করেন তারা। ওই মামলার শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি না করে সরাসরি আবেদনটি খারিজ করেন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে আদালতে মামলার দুটি সাক্ষ্যগ্রহণে আইনগত বাধা দূর হয়েছে। ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ থেকে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেশন (এমএলএম) ও ট্রি প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্য থেকে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে রাজধানীর কলাবাগান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। বর্তমানে এই মামলায় দুজনই কারাগারে রয়েছেন।
Be the first to comment on "ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও এমডির আবেদন খারিজ"