নিউজ ডেস্ক : নারায়নগঞ্জের পাইকপাড়ার যৌথবাহিনী পরিচালিত অপারেশন ‘হিট স্ট্রং টোয়েন্টি সেভেন’য়ে নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে একজনের হাতের কব্জি শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল। রবিবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ওই তিন জঙ্গির ময়নাতদন্ত শেষে ময়নাতদন্ত দলে প্রধান ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহাকারী অধ্যাপক ডাঃ সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ময়নাতদন্তকারী বোর্ডের চিকিৎসকদের ধারণা, অভিযানের এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করতে গিয়ে জঙ্গির হাতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ফলে ওই জঙ্গির হাতের কব্জি থেতলে যায়। তিন সদস্য ময়নাতদন্তকারী বোর্ডের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন, ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস এবং কবীর চৌধুরী।
এদিন বেলা ১১টায় ওই তিন জঙ্গির ময়নাতদন্ত হয়। বেলা ১টার দিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে ময়নাতদন্তকারী বের্ডের প্রধান সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, দুই জনের শরীরে স্প্রিন্টার ও গুলির চিহ্ন ছিল। গুলির কারণেই তাদের মৃত্যু হয়। মাথার সামনে দিয়ে গুলি বেদ করে পেছন দিয়ে বেরিয়ে গেছে। তবে তামিমের শরীরে শুধু গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি জানান, জঙ্গিদের শরীর থেকে উরুর মাংস, চুল এবং রক্তের নমুনা মহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তারা শক্তিবর্ধক ওষুধ বা মাদক সেবন করেছিলেন কিনা তা জানার জন্য ভিসেরা, রক্ত ও ইউরিন সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জঙ্গিদের অবস্থানের সংবাদ পেয়ে শনিবার ভোরে নায়ারগঞ্জের পাইকপাড়ার কবরস্থান এলাকার নরুউদ্দিন দেওয়ানের তিনতলা বাড়ি ঘিরে ফেলে অভিযান শুরু করেন যৌথবাহিনী পরিচালিত অপারেশন ‘হিট স্ট্রং টোয়েন্টি সেভেন’। এক ঘণ্টার অভিযান শেষে ওই আস্তানায় আইনশৃংখলাবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে নব্য জেএমবির প্রধান ও গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হন।
ওইদিন জঙ্গি আস্তানার বাড়ির মালিক ও স্ত্রী ও সন্তানসহ ১০জনকে আটক করে যৌথবাহিনী। পরে ভাড়াটেদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে বাড়ির মালিক নুরুদ্দীন দেওয়ানকে গ্রেফতার করে বাকিদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
Be the first to comment on "তামিমসহ তিন জঙ্গি ময়নাতদন্ত সম্পন্ন"