শিরোনাম

‘তিস্তা ব্যারাজের ব্যবহার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা উদাসীন’

নিউজ ডেস্ক : তিস্তা ইস্যুতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেও গুরুত্বপূর্ণ তিস্তা ব্যারাজের ব্যবহার নিয়ে দেশের গণমাধ্যম ও বিশেষজ্ঞরা উদাসীন বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
তিনি বলেন, তিস্তার ওপর আমাদের যে অধিকার সেটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে দরকষাকষি চলবে। কিন্তু যে প্রয়োজনে তিস্তা ব্যারাজ করা হয়েছিল, সেটি কতটুকু কাজে লাগছে তাও মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। তিস্তা ব্যারাজের সক্ষমতার অর্ধেকেরও কম ব্যবহার করা হচ্ছে। মাত্র দেড় লাখ হেক্টর জমির সেচে এটি কাজে লাগানো হচ্ছে। অথচ এর মাধ্যমে চার থেকে সাড়ে চার লাখ হেক্টর জমির সেচ সম্ভব। কিন্তু দেশীয় বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমে এই বিষয়ে উদাসীন।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী জাতীয় পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পিকেএসএফ, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ(বিইউপি) ও এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্যে রাখেন পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম, বিইউপি নির্বাহী পরিচালক ড. নিলুফার বানু এবং এনজিও ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এস এমএ রশিদ।
অনুষ্ঠানে পানি সম্পদমন্ত্রী বলেন, আমরা এমডিজিতে সফল হয়েছি। আশা করি এসডিজির ক্ষেত্রে সেই সফলতাকেও আমরা ছাড়িয়ে যাবো। এজন্য এসডিজির পানি বিষয়ক ৬ নম্বর লক্ষ্য অর্জনে পানি ব্যবস্থাপনার উপর জোর দিতে হবে। আন্তঃদেশীয় নদীগুলোর ক্ষেত্রে যে সমস্যা আছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমধানে সরকার কাজ করছে। এখন আমাদের অভ্যন্তরীণ পানি ব্যবস্থাপনার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কাজী খলিকুজ্জমান বলেন, পানির সাথে দারিদ্রের সম্পর্ক রয়েছে। পানি সংক্রান্ত সমস্যা যেমন-বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, খরা, নদী ভাঙন, লবণাক্ততা ইত্যাদি দারিদ্র সমস্যাকে গভীর করে। এই সমস্যা সমাধান করতে পারলে মানুষের আয় বাড়বে, বৈষম্য কমবে ও জাতীয় আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এজন্য সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এমডিজি লক্ষ্য আন্তর্জাতিক সুপেয় পানি এবং সেনিটেশন দর্শক সম্পর্কীয় সরকারি এবং বেসরকারি প্রচারাভিযান এবং ধারাবাহিক কর্মকান্ড থেকে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন নিয়ামক এখনো বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধক। অধিক জনসংখ্যা, দারিদ্র, সচেতনতার প্রভাব এবং এর সাথে ভৌগোলিক অবস্থানগত সমস্যা এবং অন্যান্য পরিবেশগত ঝুঁকি যেমন জলবায়ু পরিবর্তন এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পানি দূষণ এবং সুপেয় পানি সরবরাহের সুবিধা বৃদ্ধিও জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
যদিও বাংলাদেশ নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রায় শতকরা ৯৭ দশমিক ৬ ভাগ নিশ্চিত করতে পেরেছে কিন্তু ভূ-গর্ভস্থ পানিতে আসের্নিকের প্রভাব থাকায় তা প্রশমনে এ পর্যন্ত নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ নিরাপদ পানি সরবরাহের মাত্রা শতকরা ৮৮ ভাগ নিশ্চিত করেছে। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে পানি বিষয়ক মোট ১১টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "‘তিস্তা ব্যারাজের ব্যবহার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা উদাসীন’"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*