নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন দিন রাজপথ-রেলপথ অবরোধের পর সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিকরা। বুধবার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রমাণিক এবং প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের সঙ্গে বৈঠক শেষে কর্মসূচি প্রত্যাহারের এ খবর সাংবাদিকদের জানানো হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের সব বকেয়া আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে একসঙ্গে পরিশোধ করা হবে বলে পাট প্রতিমন্ত্রী জানান। পাটকল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের পাশে রেখেই মির্জা আজম বলেন, ‘আজ এই মুহূর্ত থেকে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। পরবর্তী কর্মদিবস থেকে তারা কাজে যোগ দেবেন।’
বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ পাঁচ দফা দাবিতে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিকরা গত ৫ এপ্রিল থেকে আন্দোলন করছিলেন। পাটকল শ্রমিক সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের ডাকে গত সোমবার অনির্দিষ্টকালের সকাল-সন্ধ্যা কর্মসূচি শুরুর পর ওইদিনই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনকে (বিজেএমসি) এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের নির্দেশ দেন।
ওই অর্থ দিয়ে সারাদেশের সব রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের কর্মীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে সেদিন সাংবাদিকদের জানান বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। তবে সরকারের ঘোষণার পরও অবরোধ প্রত্যাহার না করে পাটকল শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, কত টাকা কীভাবে পরিশোধ করা হবে তা না জেনে তারা আন্দোলন থেকে সরছেন না।
এই পরিস্থিতিতে চলমান আন্দোলনের বাইরে থাকা ১৮টি পাটকলের শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও সচিব এম এ কাদের সরকার।
আন্দোলনে থাকা খুলনা অঞ্চলের পাটকলের শ্রমিক নেতাদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা ‘নন-সিবিএ’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে আপত্তি জানিয়ে সম্মেলন কক্ষের বাইরে অবস্থান নেন। এর পরও খুলনা অঞ্চলের অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন।
সোহরাব হোসেন সকালে বলেছিলেন, দুপুরে পাট মন্ত্রাণালয়ে ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠকের পর অবরোধের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

Be the first to comment on "পাটকল শ্রমিকদের অবরোধ প্রত্যাহার"