নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতি সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত কেবিনেট মিটিং-এর কারণে তীব্র যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণকে। এই দুর্ভোগ এড়াতে সচিবালয়ে কেবিনেট মিটিং বন্ধ করার প্রদক্ষেপ নিতে সাত দিন সময় বেঁধে দিয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার সকালে ডাক ও পোস্ট যোগে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
আগামী সাত দিনের মধ্যে কেবিনেট মিটিং-এর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলেও জানান তিনি।
কোনো ধরণের নিয়ম-নীতি ছাড়াই এই কেবিনেট মিটিং করার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে ওই নোটিশে। কেবিনেট মিটিং যদি করতেই হয় তাহলে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অথবা রাষ্ট্রপতির বঙ্গভবনে করার যুক্তিও তুলে ধরা হয় ওই নোটিশে।
ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, সকল কেবিনেট মিটিং-এ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকতে হবে বিষয়টা এমন নয়। একই সঙ্গে কোনো ধরণের আইন সংসদে উপস্থাপন করার আগে কেবিনেটে আলোচনা করার বিষয়টি সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারায় উল্লেখ নেই।
সপ্তাহে একদিন কেবিনেট মিটিং সংবিধানে উল্লেখিত ৮০ ও ৫৫(৬) ধারার পরিপন্থী বলেও দাবি করেন ওই আইনজীবী।
কেবিনেট সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও পুলিশ কমিশনারকে আগামী সাত দিনের মধ্যে ওই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬ এর সংশ্লিষ্ট বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট মামলা করা হবে বলে জানান আইনজীবী।
তিনি বলেন, এই আইনের ২১ ধারায় প্রতি সোমবার কেবিনেট মিটিং করার বিধান রয়েছে। কিন্ত কোন জায়গায় মিটিং হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা নাই বা প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতির কথাও উল্লেখ নাই।
ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, প্রতি সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কেবিনেট মিটিং চলাকালে যানজটসহ নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সাপ্তাহিক এই মিটিংটি প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়, সংসদ সচিবালয় অথবা অন্য কোনো স্থানে করলে জনদুর্ভোগ অনেকটা কমবে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কেবিনেট মিটিং-এ উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তারা থাকছেন না। তাদের নিয়োগের বৈধতার বিষয়টিও লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
Be the first to comment on "প্রধানমন্ত্রীর কেবিনেট মিটিং বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ"