নিউজ ডেস্ক :থাইল্যান্ড এর কুখ্যাত যৌন পর্যটন শিল্প অবশেষে বন্ধ হতে যাচ্ছে। নিজেকে পর্যটনের জন্য নারীবান্ধব একটি দেশ হিসেবে প্রমাণের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে থাইল্যান্ড। থাইল্যান্ডের প্রথম নারী পর্যটন মন্ত্রী কোবকার্ন ওয়াতানঅ্যাভরাঙ্কুল এর উদ্যোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
গত মাসে থাইল্যান্ডজুড়ে বেশ্যালয়গুলোতে বেশ কয়েকটি পুলিশি অভিযানের পর থাইল্যান্ডের পর্যটন মন্ত্রী এই প্রতিজ্ঞা করেন। এসময় তিনি মানব পাচার এবং অল্পবয়সী যৌনকর্মীদের নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
কোবকার্ন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্পের গুনগত মানের উন্নয়ন ঘটাতে চাই। আমরা চাই যৌন বাণিজ্যের অবসান ঘটুক।”
“পর্যটকরা যৌনতার জন্য আমাদের দেশে আসেন না। তারা আসেন আমাদের সংস্কৃতির সৌন্দর্যের টানে।”
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ১৯৬০ সাল থেকেই পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ আছে। কিন্তু এই অঞ্চলে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার যৌনকর্মী কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় বসেই এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ তা দেখেও না দেখার ভান করছে।
২০১৪ সালে মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই কোবকার্ন এই উদ্যোগ নেন। প্রথমেই তিনি দেহ ব্যবসার আখড়া হিসেবে পরিচিত সমুদ্রতীরবর্তী পাতায়া শহরের যৌনপল্লী উৎখাতের মধ্য দিয়ে তার প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেন।
দীর্ঘদিন ধরেই পাতায়াতে ১ হাজার বার ও ম্যাসেজ পার্লারের আড়ালে বিশাল পরিসরের অবৈধ যৌনবাণিজ্য চলে আসছিল।
গত মাসের পুলিশি অভিযানে ব্যাংককের একটি নামকরা ম্যাসেজ পার্লার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় ১০০-রও বেশি যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। যাদের ১৫ জনই ছিল শিশু।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে প্রতি বছর ১০ লাখ ব্রিটিশ পর্যটক ভ্রমণে যান। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
বন্ধ হচ্ছে থাইল্যান্ডের যৌন বাণিজ্য

Be the first to comment on "বন্ধ হচ্ছে থাইল্যান্ডের যৌন বাণিজ্য"