শিরোনাম

‘বাংলাদেশে মোবাইল টাওয়ারের তেজস্ক্রিয়তা ক্ষতিকর’

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশনের (তেজস্ক্রিয়তা) মাত্রা উচ্চ পর্যায়ের, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এক প্রতিবেদনের উদ্বৃতি দিয়ে হাইকোর্টকে এমনটিই জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। রেডিয়েশনের মাত্রা কমাতে বিটিআরসিকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বলেও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষ একথা জানায়। পরে আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনটি আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে হলফনামা আকারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিটিআরসি কী পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটিও এর মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৮ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আজ (বুধবার) আদালতে বলেছে-স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে দেখা গেছে সেলফোনের টাওয়ারে রেডিয়েশনের মাত্রা অনেক বেশি অর্থাৎ উচ্চ মাত্রার। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তারা এটা বিটিআরসিকে জানিয়েছে; যেন রেডিয়েশনের মাত্রা কমাতে ব্যবস্থা নেয়। এরপর আদালত প্রতিবেদনটি হলফনামা আকারে দাখিল করতে বলেছেন এবং বিটিআরসির পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আদালত ২৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
মোবাইল ফোনের টাওয়ারের তেজস্ক্রিয়তা নিঃসরণ নিয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ। পরে আরেক সম্পুরক আবেদনে স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে নির্ণয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
রিট দায়েরের পর ওইসময় হাইকোর্ট রেডিয়েশনের মাত্রা এবং এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন। আদেশে বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কয়েকটি মোবাইল ফোন টাওয়ার পরিদর্শন করে রেডিয়েশন বিষয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
এছাড়া দেশের বিভিন্নস্থানে স্থাপিত মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারগুলো থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। সে বিষয়ে শুনানিতেই বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটির কথা আদালতকে জানানো হয়।

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "‘বাংলাদেশে মোবাইল টাওয়ারের তেজস্ক্রিয়তা ক্ষতিকর’"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*