নিউজ ডেস্ক : যুদ্ধ ও সংঘাতের ফলে বিশ্বে এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছেন। জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা (ইইএনএইচসিআর) এ কথা জানিয়েছে।
জাতিসংঘের হিসেব মতে, ২০১৫ সালের শেষদিকে বিশ্বে ৬ কোটি ৫৩ লাখ মানুষ হয় উদ্বাস্তু আর নয়তো শরণার্থী অথবা আভ্যন্তরীনভাবে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় ছিল। শুধু ২০১৫ সালেই ৫০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অর্থাৎ বিশ্বের প্রতি ১১৩ জন মানুষের ১ জনই এখন উদ্বাস্তু। খবর বিবিসির।
আজ বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ যে বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে, তাতে বলা হয়েছে বিশ্বব্যাপী এই প্রথমবারের মতো উদ্বাস্তুর সংখ্যা ৬ কোটি ছড়িয়ে গেল।
আর এই উদ্বাস্তুদের অর্ধেকেরই (৫৪%) বাড়ি ছিল সিরিয়া, আফগানিস্তান ও সোমালিয়ায়। এঁদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে।
ওদিকে ইউরোপের দেশগুলো তদের দিকে ধেয়ে যাওয়া শরণার্থীদের ভয়ে এখন একপ্রকার ‘বিদেশি ভীতি’-তে আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছে। অথচ যে ২ কোটি ১৩ লাখ উদ্বাস্তু শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তাদের ৮৬ শতাংশই কোনো অইউরোপীয় নিম্ন বা মধ্য আয়ের দেশে আশ্রয় নিয়ছেন। ১৯৯২ সালের পর এই প্রথম বিশ্বব্যাপী শরণার্থীর সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গেল।
ইউরোপে সবমিলিয়ে মাত্র ১০ লাখ ১১ হাজার ৭০০ জন শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এই হিসেব দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশেও ৩ থেকে ৫ লাখ শরণার্থী রয়েছেন, যাঁদের প্রায় সবাই রোহিঙ্গা। এ ছাড়া এই মুহূর্তে অন্তত ১১ হাজার বাংলাদেশি আছেন, যাঁরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি নিয়ে আশ্রয় পেয়েছেন। ভাগ্যের সন্ধানে বিদেশে যাওয়া অনেক বাংলাদেশিই উন্নত জীবনের জন্য বিদেশে গিয়ে শরণার্থী হিসেবে নাম লেখান। ইউএনএইচসিআরের ঢাকা কার্যালয় থেকে গতকাল জানানো হয়, গত বছর পর্যন্ত নানা দেশে মোট ৩২ হাজার ৯৭৭ জন বাংলাদেশি ইউএনএইচসিআরের সহায়তা চেয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ১০ হাজার ৮৮১ জন শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
এমন পরিপ্রেক্ষিতেই আজ ২০ জুন সোমবার সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস পালিত হচ্ছে।
Be the first to comment on "বিশ্বে এখন ৬ কোটি ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন ॥ জাতিসংঘ"