নিউজ ডেস্ক : মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট এলাকায় সন্ধান পাওয়া জঙ্গি আস্তানার চারদিকে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা কর্ডন করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই আস্তানা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, ভেতরে কয়েক দফায় বোমা বিস্ফোরণেরও শব্দ শোনা গেছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সময় থেকে ঘিরে রাখা হয়েছে সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজারের কাছে ফতেহপুর গ্রামের একটি আস্তানাও। বড়হাটের আস্তানাটি একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে, আর ফতেহপুরের আস্তানাটি একটি একতলা বাড়িতে।
মৌলভীবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম জানান, দুটি আস্তানাতেই জঙ্গিরা অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ রাত থেকেই আস্তানা দুটি ঘেরাও করে রাখে। আজ বুধবার ভোররাতের দিকে অভিযান শুরু করলে জঙ্গিরা গুলি করতে থাকে। সকালে একের পর এক গ্রেনেড ছুড়েও মারে তারা। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যেও দুটি জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। সাড়ে ১০টার দিকে বড়হাটের আস্তানার ভেতরে বিকট শব্দে তিনটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।
বড়হাটের আস্তানাটি ঘেরাও করে রাখার সঙ্গে সঙ্গে তার আশপাশের বাড়িগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখন ওই বাড়ির চারদিকে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা কর্ডন করে নিয়ে সেদিকে কাউকে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ। দুপুর দেড়টার দিকে সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কামরুল আহসান বলেন, পুলিশ জঙ্গিদের ঘেরাও করে আছে। সময়মতো অপারেশন চলবে। তবে ভেতরে ক’জন আছে, ঠিক এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ভেতরে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ জঙ্গিরা অবস্থান করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাড়িটি ঘেরাও করার পর সকাল ৭টা থেকে থেকে সেখানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। সে বাড়ির আশপাশের বিভিন্ন ভবনে সহস্রাধিক লোকের বসতি রয়েছে। তাদের অনেককে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনা হয়েছে। এই আস্তানা ও ফতেহপুরের আস্তানায় অভিযানে যোগ দিতে এরই মধ্যে ঢাকা থেকে মৌলভীবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়েছে সোয়াট টিম। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জঙ্গিদের দমনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হবে।
Be the first to comment on "বড়হাটের জঙ্গি আস্তানার আধা কিলোমিটার এলাকা কর্ডন"