নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। বর্তমান সরকার জনগণের এ অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে চায়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুব শিগগিরই জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশে এর কার্যক্রম শুরু করার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
রোববার নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঢাকার বিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের কার্যক্রম’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এতদিন পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম ছিল না। বর্তমানে ২০১ জন খাদ্য পরিদর্শককে প্রথম পর্যায়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এরা কাজ করবে।
মেট্রোপলিটন শহরসহ ৬৪ জেলায় নিরাপদ খাদ্য আদালত গঠন করা হয়েছে। সরকার ১০টি ল্যাবরেটরিকে স্বীকৃতি দিয়েছে যেখান থেকে খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। খুব শিগগিরই নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
হুশিয়ারী উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, যারা ভেজালের সঙ্গে জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। যদি না তারা মান অনুযায়ী খাদ্য পণ্য উৎপাদন করে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জনগণের সেবা প্রদান করার একটি কার্যকরী সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ফজলে নুর তাপস এমপি বলেন, খাদ্য হচ্ছে মানুষের প্রধান মৌলিক চাহিদা। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে।
তিনি বলেন, ভেজালযুক্ত খাবার খাওয়ার জন্য মানুষের রোগ-ব্যাধীও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভেজালমুক্ত খাবার কিভাবে নিশ্চিত করা যায় তার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আমরা কি খাচ্ছি জানি না। বাচ্চারা ফল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্তমানে আমরা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। মানুষ এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। তিনি ভেজালের সঙ্গে জড়িত সকলকে শাস্তির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহা. ইফতিখার। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব এ এম বদরুদ্দোজা, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ফয়েজ আহমদসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য অধিদফতরের বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তারা।

Be the first to comment on "ভেজালের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না"