নিউজ ডেস্ক: বয়সের ভারে ঠাকুরগাঁওয়ের ফুসফুস ও গরিবের এসি বলে পরিচিত অাদালত চত্বরে অবস্থিত শত বছরের বটগাছটির একাংশ ভেঙে পড়েছে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রোববার সকালে অাদালত চলাকালীন গাছটি ভেঙে পড়ে। এসময় গাছটির ছায়ায় শতাথিক মানুষ বিশ্রাম করছিলেন। তারা সবাই দূরদূরান্ত থেকে মামলা কাছে এসেছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে সবাই প্রাণে বেঁচে গেছেন।
এদিকে বটগাছটি ভেঙে পড়ায় শহরের একাধিক মানুষের মুখটি মলিন হয়ে যায়। কারণ প্রচণ্ড রোদে শহরের মানুষ একটু শীতল হতে এই গাছের নিচে এসেই বসতো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে প্রতিদিনের মতো মামলা সংক্রান্ত কাজে অাদালত চত্বরে জোড়ো হতে থাকে শত শত মানুষ। এ সময় বটগাছের নিচে বসে ছিল শতাধিক মানুষ । হঠাৎ করে গাছটি ভেঙে পড়ার শব্দ শুনতে পারে কিছু মানুষ। এ সময় মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে দাঁড়ায়। আস্তে আস্তে অবশেষে গাছটির একাংশ ভেঙে পড়ে।
এদিকে গাছটি ভেঙে পড়ার খবর শুনে গাছটি দেখতে শহরের অনেক মানুষ ভিড় জমায় অাদালত চত্বরে।
অাদালতে হাজিরা দিতে আসা সামসুল হোসেন জানান, হরিপুর থেকে প্রায় ১০ বছর যাবত মামলার হাজিরা দিতে আসছি। ক্লান্ত হলে এই বটগাছের নিচেই বিশ্রাম করি। খুব কষ্ট লাগছে গাছটি ভেঙে পড়ায়।
শহরের প্রবীন ব্যক্তি মনতোষ কুমার দে জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য ছিল এই বটমূল। এর পর মনে হয়না বটমূলে বৈশাখ উদযাপন করা যাবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের আইনজীবী আব্দুল হালিম জানান, গরিবের আশ্রলস্থল ছিল এই বটগাছটি। আর ঠান্ডা বাতাস খেতে পারবে না অসহায় মানুষগুলো।
Be the first to comment on "ভেঙে পড়লো ঠাকুরগাঁওয়ের ফুসফুস"