নিউজ ডেস্ক : কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, মহড়ার কথা বলে তুরস্কের রাস্তায় দেশের সামরিক বাহিনীর জুনিয়র সেনাদেরকে নামানো হয়েছিল। ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জনগণের হাতে আটক সেনারা এমনটাই জানিয়েছেন। যা নিয়ে প্রবল সমালোচনা তৈরি হয়েছে। দ্য ইনডিপেনডেন্ট ইউকেতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনগণের হাতে আটক সেনাদের সামরিক দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জেরায় জুনিয়ার সেনা-জওয়ানেরা জানান, এটা যে অভ্যুত্থান ছিল বিষয়টি তারা কখনই জানত না। সাধারণ জনতা যখন ট্যাংক দখল করে সেটাতে চড়ে বসছিল, তখন কিছু সেনা বুঝতে পারে অভ্যুত্থানের অংশ হিসেবেই তাদেরকে নামানো হয়েছিল রাস্তায়।
এখন পর্যন্ত অভ্যুত্থানে জড়িত প্রায় ৬০০০ জনকে আটক করা হয়েছে। দেশের জনগণের হাতে আটকদের মধ্যে একজন কমান্ডারও রয়েছে। কেন সেনা অভ্যুত্থানে? এর পিছনে কে রয়েছে? এই সব তথ্য পেয়ে বর্তমানে আটক বেশ কয়েকজন সেনাকে দেশের সেনা সদর দপ্তরে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক জেরা করা হচ্ছে। সেই জেরায় নাকি অনেকেই জানিয়েছেন, এই বিষয়টি সম্বন্ধে কোনো তথ্যই নাকি দেওয়া হয়নি প্রথমে। পরে বিষয়টি বোঝা যায়। আর এরপরই কার্যত বিদ্রোহ অনেকটাই থিতু হয়।
শুক্রবার রাতে তুরস্কে সেনাবাহিনীর একটি অংশ অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমে আসে সাধারণ মানুষ। তাদের সঙ্গে যোগ দেন গণতন্ত্রকামী সেনা ও পুলিশ সদস্যরা। ফলে ব্যর্থ হয় অভ্যুত্থানের চেষ্টা। যদিও এই ঘটনায় অন্তত ২৬৫ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৬১ জন গণতন্ত্রপন্থী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক। নিহত বাকিরা অভ্যুত্থানকারী। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৪৪০ জন।
Be the first to comment on "মহড়ার কথা বলে রাস্তায় নামানো হয় সেনা-জওয়ানদের"