নিউজ ডেস্ক: ঠোঁটে ঠোঁট ঠেকিয়ে ‘সম্ভাষণ’ করতে অন্য প্রাণীকে দেখা গেলেও মানুষই বোধ হয় একমাত্র চুম্বনেক তার মর্ম-সহ উপলব্ধি করতে পারে। চুম্বন এমনই এক বিষয়, যার শুরু কবে তা যেমন বিতর্কিত, তেমনই বিতর্ক রয়েছে তার প্রকৃত অনুভূতিগুলিকে নিয়েও। চুম্বনের ইতিহাস, ভূগোল, বা বায়োলজি নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ লেখা হয়েছে। তবুও মানুষের কৌতূহলের নিবৃত্তি হয়নি এই বিশেষ ক্রিয়াটিকে ঘিরে। এখানে রইল চুম্বন সম্পর্কে ৫টি তথ্য, দেখা যাক চুম্বনের কী ও কেন।
১. প্রচীনতম চুম্বনের নিদর্শন রয়েছে বৈদিক সংস্কৃতিতে। বৈদিক সংস্কৃত গ্রন্থাদিতে চুম্বনকে বলা হয়েছে— পরস্পরের আত্মাকে অনুভবের ক্রিয়া।
২. পরবর্তী হিন্দু শাস্ত্রগুলি চুম্বনকে তীব্র রোম্যান্টিকতায় নিষিক্ত করে। ‘কামসূত্র’-য় বাৎস্যায়ন তো পাতার পর পাতা লিখে গিয়েছেন চুম্বন নিয়ে। কিন্তু মার্কি নৃতাত্ত্বিক গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, মাত্র ৪৬ শতাংশ সংস্কৃতিতে চুম্বনের রোম্যান্টিক তাৎপর্য রয়েছে। ৬৪ শতাংশ সংস্কৃতিতে চুম্বন ব্যাপারটাই নেই। এ থেকে বোঝা যায়, চুম্বন একটা ‘শেখা’-র বিষয়। সামাজিকীকরণের জটিল প্রক্রিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। এবং অবশ্যই চুম্বন কোনও প্রবৃত্তিগত বিষয় নয়।
৩. এর বিপরীতে অনেক নৃতত্ত্ববিদই দেখান, মানুয ছাড়াও অন্য প্রাণীদের মধ্যে চুম্বনের চল রয়েছে। শিম্পাঞ্জিরাও ‘চুম্বন’ করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শিম্পাঞ্জিদের সেই আচরণ আর মানুষের চুম্বন এক বস্তু নয়। শিম্পাঞ্জিরা তাদের এই ক্রিয়াটি করে থাকে পুরুষে পুরুষে।
৪. আধুনিক বিশ্বে চুম্বন সম্পর্কিত সবথেকে জনপ্রিয় তত্ত্বটি হল এই— মানুষের ঘ্রাণেন্দ্রিয় তেমন তীক্ষ্ণ নয়। অন্য স্তন্যপায়ীদের মতো মানুষও কিন্তু গন্ধ দিয়ে কোনও কিছুকে বুঝতে চায়। দু’টি মানুষের মুখ কাছাকাছি এলে বেশ কিছু হরমোনের নিঃসরণ ঘটে। সেই ক্ষরণকে বুঝতে মানুষ ঘ্রাণ নিতে চায়। সে কারণে চুম্বনই হয়ে দাঁড়ায় সব থেকে প্রকৃষ্ট উপায়।
৫. শেষ পর্যন্ত চুম্বন ঘনিষ্ঠতার একটা প্রতীক হিসেবই বিবেচিত। স্পর্শানুভূতির চূড়ান্ত স্তরকে চুম্বনই নির্ধারণ করে। তা থেকেই শুরু হতে পারে যৌনতার যাত্রা। শারীরিক সুখের প্রথম দ্বারটি চুম্বন। সেটা অস্বীকার করছেন না কেউই।
Be the first to comment on "মানুষ চুমু খায় কেন? জেনে নিন ৫টি কারণ"