নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, গুলশান, শোলাকিয়াসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও জঙ্গী হামলার ‘নীলনকশা’ তৈরিতে যারা কাজ করেছে, তাদের তথ্য পাওয়া গেছে। জঙ্গী ও সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সবাইকে আমরা চিহ্নিত করেছি। সবগুলো ঘটনার পেছনে কারা এবং কীভাবে ঘটিয়েছে আমাদের কাছে তাদের তথ্য এসে পড়েছে। বিভ্রান্তি ছড়ানো ছাড়া তারা আর কিছুই করতে পারবে না। এদেশে তাদের স্থান হবে না।
সোমবার বিকালে মোহাম্মদপুরে নিউ প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গী হামলা এবং বাংলাদেশে হামলার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিশ্বের অন্য দেশের মতো আমাদের দেশের হামলার প্রেক্ষাপটের মিল নেই। বাংলাদেশ দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে, এটাও তারই একটা ধারাবাহিকতার অংশ। যতগুলো প্রমাণ আমাদের কাছে আসছে সবগুলোই একই সুতোয় গাথা।
তিনি বলেন, আমরা কোনো ধর্ম কিংবা সম্প্রদায়ের উপর আঘাত দিই নাই। তবে কেন এই আত্মঘাতী হামলা? এগুলো অমানুষের কাজ, অধর্মের কাজ। কোন ধর্মে মানুষ হত্যা করার কোন বিধান নেই। একটা গোষ্ঠী যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের বোঝানোর সময় এসেছে। গুলশানের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অবাক দৃষ্টিতে দেখলাম, যারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত তারা এর সঙ্গে জড়িত। এটা আমাদের সামনে একটি ভিন্ন মোটিভ নিয়ে আসছে। আমরা তাভেল্লা সিজার থেকে শুরু করে সবগুলো হত্যাকান্ড কেন ঘটিয়েছে, কিভাবে ঘটিয়েছে- তা আমরা জানতে পেরেছি। তাদের বিরুদ্ধে আজ সমস্ত জাতি ঐক্যবদ্ধ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, দেশের সকল জঙ্গী হামলা ও গুপ্তহত্যার তথ্য-উপাত্ত আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে চলে এসেছে। তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাস-নাশকতামূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোন সংগঠন জড়িত নয়। এই সকল ঘটনার জন্য দু’টি রাজনৈতিক দল দায়ী। একটি হচ্ছে বিএনপি, অপরটি জামায়াত। প্রত্যেকটি ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, যারা ধরা পড়েছে, যারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে- তারা বিএনপি-জামায়াতের লোক। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণীত সবগুলো হত্যাকান্ডের সঙ্গে জামায়াত এবং বিএনপির সন্ত্রাসীরা জড়িত। আসলে তারা সরকারের পতন ঘটাতে না পেরে গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, তারেক রহমানের যে রায় হয়েছে আপনার আইনী লড়াই করে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করুন। এই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হয়েছে। তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নি¤œ আদালতের যে বিচারক রায় দিয়েছিলো সে আরেক অপরাধী। অপরাধী বলেই স্বপরিবারে বিদেশে পালিয়ে চলে গেছে। অর্থের বিনিময়ে তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছিলো। তাই কোন ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ নেই। শেখ হাসিনা পাশে বাংলাদেশের মানুষ আছে। যতদিন শেখ হাসিনার পাশে বাংলাদেশের মানুষ থাকবে তত দিন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপির সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমূখ।
Be the first to comment on "যারা নীলনকশা করেছে তাদের তথ্য পেয়েছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী"