নিউজ ডেস্ক : পরিবারের দারিদ্রতার কারণে ২০০৩ সালে ঠাকুরগাঁও ম্যাজিক কার্ট টেইর্লাসে ছেলের কাজের সন্ধানে এসেছিলেন ওবায়দুলের বাবা আব্দুস সামাদ পাইকার। অভাবের সংসারের কথা শুনে ১৫ বছরের শিশু ওবায়দুলকে টেইর্লাসে কাজের সুযোগ দেন গৌরাঙ্গ।
২০১০ সালে বেশি উর্পাজনের জন্য পাড়ি জমায় ঢাকায়। পরবর্তীতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং মলে বৈশাখী টেইলার্সে কাটিং মাস্টার হিসেবে যোগ দেয় ওবায়দুল।
উল্লেখ্য, কাকরাইলে গত বুধবার বখাটে এক যুবকের ছুরিতে আহত উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, দমেয়েটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।
১৪ বছর বয়সী সুরাইয়া আক্তার রিশা উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। তার বাবার নাম রমজান। তারা পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে থাকতো।
রিশার মা তানিয়া বেগমের জানিয়েছিলেন, কয়েক মাস আগে ইস্টার্ন মল্লিকার বৈশাখী টেইলার্সে একটি জামা বানাতে দিয়েছিলেন তিনি। যোগাযোগের জন্য সেখানে তিনি নিজের ফোন নম্বর দিয়েছিলেন।
ওবায়দুল নামে ওই দোকানের এক কর্মচারী ফোন করে রিশাকে বিরক্ত করছিল। এ কারণে রিশার মা ওই মোবাইল সিমটি বন্ধ করে দেন। তার ধারণা, ওবায়দুল রিশাকে ছুরি মেরেছে।
পরে ওই টেইলার্সে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ওবায়দুল দুই মাস আগে চাকরি ছেড়ে সেখান থেকে চলে গেছে।
উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, রিশার মা বুধবারই ওবায়দুলকে আসামি করে রমনা থানায় একটি মামলা করেছেন।
Be the first to comment on "রিশার ঘাতক ওবায়দুলের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ঠাকুরগাঁওয়ে"