নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে অবস্থিত বুরো বাংলাদেশ লক্ষীপাশা শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল কাদের’র বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তার এই অপকর্মের কারণে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী রাজুপুর গ্রামের তহমিনা খন্দকার ও পার-মল্লিকপুর গ্রামের আবেনুর বেগমসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, তাদের স্বামী কৃষি ও শিক্ষকতা করেন। লোন গ্রহনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওই শাখায় জমা দিয়েছেন তারা। স্বল্প সময়ের মধ্যে ঋণ প্রদানের কথা থাকলেও নানা টালবাহানা ও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঘুরাচ্ছেন। সর্বশেষ তাকে ঋণ নিতে হলে ২ হাজার ৫’শ টাকা অফেরৎ হিসেবে ম্যানেজারকে অগ্রিম দিতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন আব্দুল কাদের। বুরো বাংলাদেশ ওই শাখার একাধিক সদস্য অভিযোগ করে বলেন গত ২০১৫ সালে ম্যানেজার আব্দুল কাদের এই শাখায় যোগদানের পর থেকে সদস্যসহ সকলের সাথে তিনি খারাপ আচরণ করে আসছেন। কারণে, অকারণে সদস্যদের গালমন্দ করেন। এছাড়াও কোন সদস্য তাকে ঘুষ না দিয়ে ঋণ নিতে পারেন না। ঋণের ধরন বুঝে ঘুষের টাকা নির্ধারিত হয়। জানা যায় ২হাজার থেকে শুরু করে ১০হাজার টাকা পর্যন্ত নেন ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে। গরীব-অসহায় মহিলাদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন ওই কর্মকর্তা তার রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। ঋণ না পাওয়ার ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, ম্যানেজারের খারাপ ব্যবহার আর ঘুষ বাণিজ্যের কারণে এই শাখায় সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এ শাখা থেকে নিজের সদস্য পদ বাতিল করার কথাও বলেছেন। এ ব্যাপারে বুরো বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। ম্যানেজার আব্দুল কাদেরের কারণে ওই সংস্থাটির সুনাম দিন দিন ক্ষুন্ন হচ্ছে বলেও অনেক সদস্য অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ম্যানেজার আব্দুল কাদের বলেন, সদস্য তহমিনা খন্দকার ও আবেনুর বেগমকে ঋণ দিলে তারা ঋণের টাকা অন্য কাউকে দিয়ে দিতে পারে এজন্য তাদের ঋণ দেওয়া হয় নাই। ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।
লোহগড়ায় বুরো বাংলাদেশ এনজিও’র দুর্নীতি-অনিয়মে ক্ষুব্ধ গ্রাহক

Be the first to comment on "লোহগড়ায় বুরো বাংলাদেশ এনজিও’র দুর্নীতি-অনিয়মে ক্ষুব্ধ গ্রাহক"