নিউজ ডেস্ক : নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত সড়কের ইট তুলে দুজন সরকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে তাদের সহযোগিরা প্রভাব খাটিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে পাঁচটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করবার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভূক্তভোগীরাসহ গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার (২০ জুন) বেলা ১১টায় লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানবববন্ধন শেষে প্রতিকার চেয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে ভূক্তভোগীরাসহ বক্তারা বলেন, লোহাগড়া পৌরসভার লক্ষীপাশা আদর্শপাড়ায় প্রায় ১২ বছর আগে টেন্ডারের মাধ্যমে পৌর কর্তৃপক্ষ জনসাধারণের চলাচলের জন্য ইটের সলিং করে একটি সড়ক নির্মাণ করেন। কিন্তু গত ১ মে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রার ও কালো টাকার মালিক নাজনীন জাহান এবং তার স্বামী বিটিআরসি’র সহকারী পরিচালক মো: আলী কায়ছার সুমন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত সড়কের ইট তুলে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। ফলে ৫টি পরিবারের অন্তত ৫০ জন সদস্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আটকেপড়া পরিবারের কাছে তার স্বজনরা মই বেয়ে প্রাচীরের ওপর দিয়ে খাবার পৌছে দিতে দেখা যায়। রাস্তা বন্ধে এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালেও তিনি নিজেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পরিচয় দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেন। পরে এলাকাবাসী সম্প্রতি মানুষজনের চলাচলের জন্য নিজ উদ্যোগে সড়ক নির্মাণ করে। কিন্তু গত ১৯ জুন সাব-রেজিষ্ট্রার ও তার স্বামী মুকসুদপুর উপজেলা থেকে ৩০-৪০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে সড়কটি ভেঙ্গে ফেলে এবং মানুষের চলাচলের রাস্তা ফের বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ করে। ফলে মানুষ বাড়ির মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বক্তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, মো: আলী কাওছার ও তার স্ত্রী সাব রেজিষ্ট্রার নাজনীন জাহান দম্পতি অবৈধভাবে নামে-বেনামে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভূক্তভোগী শেখ সিরাজ নুর, মোঃ জাকারিয়া ইসলাম, শেখ রাসেল, বিল্লাল নুর, রানু বেগম, ্আকলিমা বেগম, স্কুল ছাত্র অনন্ত প্রমুখ। মানবববন্ধন শেষে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। অভিযুক্ত মো: আলী কাওছার ও তার স্ত্রী নাজনীন জাহান দম্পতির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আজগর আলী এ বিষয়ে বলেন, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয় একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সরেজমিনে তদন্ত করে সমস্যা সমাধানের চেষ্ঠা করবো।
লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু বলেন, দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার, প্রভাব খাটানোর বিষয়টি আমি আগেই শুনেছি। জনগণের অধিকার খর্ব করে কিছুই করা যাবে না। আইনের মধ্যে থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় ৫টি পরিবার অবরুদ্ধ, প্রতিবাদে মানববন্ধন"