নিউজ ডেস্ক ॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ লতিফুর রহমান পলাশ (৪৮) কে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ’লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ লতিফুর রহমান পলাশ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে একটি সভায় অংশ গ্রহন করার উদেশ্যে দিঘলিয়া থেকে উপজেলা কার্যালয়ে আসেন। সভাটি বিলম্বে শুরু হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি নিয়ে তিনি ব্যক্তিগত কাজের জন্য লক্ষীপাশা সোনালী ব্যাংকের উদেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে সংগীয় ইউপি মেম্বর ফরিদ আহম্মেদ বুলুকে নিয়ে রওনা দেন। এ সময় উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের পূর্ব পাশে পৌঁছালে পূর্বথেকে ওৎ পেতে থাকা ৪/৫ জন অজ্ঞাত দুবৃর্ত্তরা প্রথমে তার মাথায় গুলি ও পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ সময় সাথে থাকা মেম্বর ফরিদ আহম্মেদ বুলুর চিৎকারে উপজেলায় আগত বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন । মুুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইউপি চেয়ারম্যনের মৃত্যূর খবরে হাসপাতাল চত্বরে তার স্বজনসহ সাধারণ মানুষজন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশিষ বিশ্বাস জানান, তার শরীর থেকে দুইটি গুলি বের করা হয়েছে। এবং তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তার মৃত্যূ হয়েছে।
চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশ হত্যা কান্ডের প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে উপজেলা আ’লীগের উদ্যোগে দুপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরী ও পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) সরদার রকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশের ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দিঘলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
প্রসঙ্গতঃ তার নিজ গ্রামে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে দির্ঘদিন ধরে বিবাদমান দুটি পক্ষের দ্বন্ধ-সংঘাত চলে আসছিল।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা"