নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা পয়েন্টে মধুমতী নদীতে অবশেষে শুরু হয়েছে সেতুর নির্মাণ কাজ। সেতুটি হবে ছয় লেন বিশিষ্ট। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এই নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালনা ফেরিঘাটের দক্ষিণ পাশে সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে। নদীর উভয়পাশে সেতু তৈরির নির্মাণ সামগ্রী আনা শুরু হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও সেতু কর্তৃপক্ষ লোহাগড়ার মদিনাপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে তাঁদের কার্যালয় করেছে। পাশেই গন্ধবাড়িয়াতে ভাড়াবাড়িতে তাঁদের বসবাসের ব্যবস্থা।
প্রকল্প সূত্র জানা গেছে, ছয় লেনের এ সেতুটি হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। চারটি মূল লেনে দ্রুতগতির এবং দুটি লেনে কমগতির যানবাহন চলাচল করবে। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৭ দশমিক ১ মিটার। উভয় পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক হবে ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ৯৫৯ কোটি টাকা। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণ হবে। জাপানের টেককেন কর্পোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলদেশের আব্দুল মোমেন লিমিটেড যৌথভাবে এ সেতুর ঠিকাদার নিযুক্ত হয়েছেন।
এ সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুমন সিংহ বলেন, ‘নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেতুর টেস্ট পাইলিং হবে। ডিসেম্বর থেকে মূল পাইলিং শুরু হবে। পাশাপাশি সংযোগ সড়কের কাজও চলবে। গত ২৪ জুন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যাদেশ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। তখন থেকে ৩৬ মাসে ঠিকাদারকে এটির কাজ শেষ করতে হবে।
ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক কে এম আতিকুল হক এই প্রতিনিধিকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ব্যতিক্রমী ছয় লেনের সেতু হবে এটি। এমন সেতু দেশে এই প্রথম।’
সেতুটি চালু হলে উভয় পারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১০টি জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে। এটা এই এলাকার মানুষের স্বপ্নের সেতু। এখানে সেতুর দাবীতে এলাকার লোকজন অনেক আন্দোলন, সংগ্রাম ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর নড়াইলে নির্বাচনী জনসভায় এ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন।
লোহাগড়ায় কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু

Be the first to comment on "লোহাগড়ায় কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু"