নিউজ ডেস্ক : মহানবীকে (সা:) নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তির জেরে উপজেলার দিঘলিয়া বাজার ও সাহাপাড়ায় ভাংচুর-আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, সৃষ্ট ঘটনার ভিডিও ফুটেজ যাচাই-বাছাই ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (১৭ জুলাই) রাতে অভিযান দিঘলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দিঘলিয়া গ্রামের মৃত ইসাহাক মৃধার ছেলে রাসেল মৃধা, চরমাউলী গ্রামের মৃত আজিজুল গাজীর ছেলে কবির গাজী, তালবাড়িয়া গ্রামের মৃত আমীন শেখের ছেলে সাঈদ শেখ, বাটিকাবাড়ি গ্রামের কবির শেখের ছেলে রেজাউল শেখ ও বয়রা গ্রামের সাজেদুর রহমানের ছেলে মাসুম বিল্লাহকে গ্রেফতার করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই মিজানুর রহমান সোমবার গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মহানবীকে (সা:) নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তির জের ধরে উপজেলার দিঘলিয়া বাজার ও সাহাপাড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দোকান, বাড়ি, মন্দির ভাংচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় মামলা হয়। উক্ত মামলায় তাদেরকে আটক করে সোমবার দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন জানান, ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সৃষ্ট ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।
প্রঙ্গত: দিঘলিয়ার নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজে স্মাতকের ছাত্র ও দিঘলিয়া গ্রামের সাহাপাড়ার আশোক সাহার ছেলে আকাশ সাহা তার ফেসবুকের আইডি থেকে গত শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিটের সময় মহানবীকে (সা:) অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়। বিষয়টি নিয়ে ওইদিন জুমার নামাজের পর স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভ থেকে বিক্ষুদ্ধ জনতা শুক্রবার বিকালে সাড়ে চারটার দিকে দিঘলিয়া বাজারে অবস্থিত সনাতন ধর্মালম্বীদের ৬টি দোকান ও পরে অশোক সাহার বাড়িতে হামলা চালায়। সন্ধ্যার পর শত শত বিক্ষুদ্ধ জনতা অভিযুক্ত আকাশ সাহাকে আটকের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। একপর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ জনতা মন্দির, বাড়ি, দোকান ভাংচুর ও সাহাপাড়ার দিপালী রাণী সাহার বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় মহানবীকে (সা:) নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তির জের’ ‘ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ, ৫জন গ্রেফতার"