নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার গিলাতলা গ্রামে সোমবার (১৭জুন) সকালে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গিলাতলা গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে নাজমুল শেখ একই গ্রামের গোলাম রব্বানী মোল্যার স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। সৃষ্ট ঘটনায় নাজমুলকে হাতুড়িপেটাসহ বেধড়ক মারপিট করে রব্বানী মোল্যাসহ তার লোকজন। গ্রামের মাতব্বর শাখায়াত খা, নিলু শেখ, আকুব্বর শেখ, গোলাম নবী শেখ, গোলাম রব্বানী শেখ ও কোবাদ খা বিষয়টি সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করলে নাজমুল তার তিনটি শিশু সন্তান ইমামুল, ইয়াছিন ও ইয়ানুরকে লোহাগড়ার পৃথক তিনটি এতিমখানায় রেখে স্ত্রী আন্না বেগমকে নিয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরে নলদী ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে খালা শোভা বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। প্রায় একবছর পর গত রোববার নাজমুল তার গ্রামের বাড়িতে আসার জন্য নলদী থেকে রওয়ানা হয়। সোমবার সকালে গিলাতলা ইটভাটার পাশে নাজমুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। ৎপা খবর পেয়ে দুপুর দুইটার দিকে যশোরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) এর ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ করেন। নিহতের স্ত্রী আন্না বেগম গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন গত শনিবার গিলাতলা বাড়িতে আসার জন্য একই গ্রামের জব্বারের ছেলে কামাল, চাঁন শেখ’র ছেলে মুরাদ শেখ, আলাল শিকদার’র ছেলে শাহানুর শিকদার, আকুব্বারের ছেলে আশিক এবং চৌগাছা গ্রামের হারুন মোল্যার ছেলে ফারুক মোল্যা দু’টি মোটর সাইকেল নিয়ে তার স্বামীকে আনতে নলদী যায়। তিনি রোববার বাড়িতে যাবে বলে তাদের জানিয়ে দিলে তারা নাজমুলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফিরে আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান গ্রামে দির্ঘদিন ধরে বিবাদমান দুটি পক্ষ রয়েছে। একটির নেতৃত্বে রয়েছে কোবাদ হোসেন খা এবং অপরটি মনির হোসেন সেন্টু খা। সম্প্রতি বিবাদটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রুপ নেওয়ায় উভয় পক্ষে বেশ হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা করলে ওই ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমান হাসানের মধ্যস্থতায় মামলার রেকর্ডভূক্তিটি মাঝপথে থেমে যায়। নিহত নাজমুল ও তাকে বাড়িতে আনার জন্য যারা নলদী গিয়েছিল সবাই কোবাদ খা পক্ষীয় লোকজন। সচেতন মহলের ধারনা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। তারা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোকাররম হোসেন বলেন, নাজমুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করণের চেষ্টা চলছে।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় যুবকের লাশ উদ্ধার"