নিউজ ডেস্ক ॥ পাঁচ বছর পর নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আজ রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনে ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার কথা রয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে। ওই সম্মেলনে দলীয় প্রতিনিধিদের (কাউন্সিলর) ভোটে শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু সভাপতি ও সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দলের নিয়ম অনুসারে তিন বছর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে তা গড়িয়েছে প্রায় পাঁচ বছরে । অবশেষে লোহাগড়া সরকারী পাইলট উচ্চ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে রোববার (২৭অক্টোবর) সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলা সম্মেলন সফল করতে ইতিমধ্যে উপজেলাসহ ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে সম্মেলন করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে সম্মেম্মলনে ত্যাগি,পরিক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের কোলজনকে বাদ দিয়ে অনৈতিক সুবিধা গ্রহনের মাধমে গ্রুপ রাজনীতি চাঙ্গা করতে হাইব্রিড,জামায়াত-বিএনপির লোকজনকে কাউন্সিলর নির্বাচিত করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক শৃংখলজনিত দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে বিরত রয়েছেন। সভাপতি পদে ৫জন এবং সাধারন সম্পাদক পদে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সভাপতি পদে এ কে এম ফয়জুল হক রোম, মঞ্জুরুল করিম মুন, মুন্সি আলাউদ্দিন, খান এ কাইয়ুম চুন্নু ও আশরাফুল আলম। সম্পাদক পদে লেঃ কমাঃ (অবঃ) এএম আব্দুল্লাহ, সৈয়দ মশিয়ুর রহমান, শিকদার নজরুল ইলাম, শেখ মতিয়ার রহমান, শেখ শিহানুক রহমান ও সাজ্জাদ হোসেন মুন্না। এ নির্বাচনে ৪৯২ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগের ত্যাগি ও পরিক্ষিত প্রবীণ নেতা জানান, এখনতো আর ভোট হয়না, শুধু নোট (টাকা)। কালো টাকায় বিক্রি হচ্ছে ভোট। এতে বিপাকে পড়েছেন দলের পরিক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের নেতারা। এই টাকার কালচার এখনই রোধ করা না গেলে দলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। নির্বাচিত নেতারা নিঃসন্দেহে নিমর্জিত হবে দুর্নীতিতে। কাউন্সিলরদের বাগে আনতে কয়েকজন প্রার্থী খামে করে টাকা নিয়ে গত শুক্রবার রাত থেকে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন। একটি ভোট ৪০-৫০ হাজার, প্রকারভেদে ১লাখ টাকায় কিনছেন তারা। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের আশংকা রাজনীতিতে এমন চর্চা অব্যহত থাকলে ব্যহত হবে দেশের উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রীর মিশনসহ সুদ্ধি অভিযান।
সম্মেলনের আহব্বায়ক মুন্সি আলাউদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কমিটি যাচাই-বাছাই করে কাউন্সিলর তালিকা চুড়ান্ত করেছে। তালিকায় কোন হাইব্রিড বা,জামায়াত-বিএনপির লোকজনকে অর্ন্তভূক্ত করা হয় নাই।
Be the first to comment on "লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন॥ কাউন্সিলরদের পোয়াবারো’ ‘কালো টাকার ছড়াছড়ি"