নিউজ ডেস্ক ॥ নড়াইলের লোহাগড়ায় ঐতিহ্যবাহী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়টি অবশেষে জাতীয়করন হওয়ায় মঙ্গলবার (৮মে) সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্র্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহল এক আলোচনা সভা ও আনন্দ র্যালির আয়োজন করেন।
জানা গেছে, গত ৭ মে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ সচিব লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৩৭.০০.০০০০.০৭১.১৮.০০২.১৭.৫৪৮ আলোকে নড়াইল জেলার লোহাগড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে জাতীয়করন করন করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্র্থী,অভিভাবক ও সচেতনমহল প্রধান মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
বিদ্যালয়ের মঞ্চে এক আলোচনা সভায় প্রধান শিক্ষক এসএম হায়াতুজ্জামান’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক এমদাদুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম), উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুকুল কুমার মৈত্র, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমএম আরাফাত হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফকির মফিজুল হক, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম মুন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম, লোহাগড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় কুমার দাস, সহকারী প্রধান শিক্ষক বাবু অরবিন্দু আচার্য্য, সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, তরিকুল ইসলাম,লোহাগড়া পৌর আ’লীগের সভাপতি ও লক্ষীপাশা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী বনি আমিন, মল্লিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার মোস্তফা কামাল, রামনারায়ন পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারন সম্পাদক আখিদুল ইসলাম, প্রমুখ। বিদ্যালয়টি লোহাগড়া সেকেন্ডারী স্কুল নামে ১৯০২ সালে রায় জদুনাথ মজুমদার বাহাদুর, প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে নাম করন করা হয় লোহাগড়া হাইস্কুল, ১৯৮২ সালে লোহাগড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং ৭মে ২০১৮ “লোহাগড়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়” নামে স্থলাভিষিক্ত হয়। বিদ্যালয়টিতে খন্ডকালিন শিক্ষকসহ শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে ৬১ জন, এবং শিক্ষার্থী রয়েছে ১’হাজার ৮’শ প্রায়।
লোহাগড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয়করন ॥ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আনন্দ র্যালি

Be the first to comment on "লোহাগড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয়করন ॥ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আনন্দ র্যালি"