নিউজ ডেস্ক : জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর করা রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তাঁর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, আপিল বিভাগ সাজা দিয়েছেন। এই রায় সঠিক হয়নি, তা বলা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। সর্বোচ্চ আদালত যেটি করেন, সেটিই ন্যায়বিচার।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষের সামনে খন্দকার মাহবুব সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়ায় জানান।
মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেমের করা আবেদন আজ খারিজ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ায় মীর কাসেম এখন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে কোনো বাধা থাকবে না।
মীর কাসেমের দণ্ড প্রসঙ্গে খন্দকার মাহবুব তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তিনি (খন্দকার মাহবুব) বারবার চিৎকার করে বলেছেন, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে, মিথ্যা সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করে, এই সাজা নেওয়া হয়েছে। বিচার সঠিক হয়েছে কি না, তা ভবিষ্যৎ বিবেচনা করবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিবেচনা করবে। আইন অঙ্গনে যারা আছেন, তাঁরা বিচারের সার্থকতা দেখবেন, মন্তব্য করবেন।
মীর কাসেম প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না, জানতে চাইলে খন্দকার মাহবুব বলেন, তিনি একজন আইনজীবী। তিনি আইনি লড়াই করেছেন। প্রাণভিক্ষার আবেদন-সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর অন্যত্র থেকে জেনে আসতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন তিনি।
মীর কাসেমের রিভিউ আবেদনের রায় ঘোষণার আগে সুপ্রিম কোর্ট ও আইনজীবী সমিতি ভবনের সংযোগ পথে বিচারপ্রত্যাশীরা ফাঁসির দড়ি প্রদর্শন করেন। রায়ের পর তাঁরা মিষ্টি বিতরণ করেন।
ওই প্রসঙ্গ টেনে মীর কাসেমের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব বলেন, আজ এখানে ফাঁসির দড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। মিষ্টি বিতরণ করা হচ্ছে। এটা অপমানজনক কি না, তা দেখার ভার তিনি সাংবাদিকদের ওপর দেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, তিনি মনে করেন, এটা দুঃখজনক। ভবিষ্যতে বাতাস যদি পাল্টে যায়, এ ধরনের আচরণের পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলেও সতর্ক করেন মীর কাসেমের এই আইনজীবী।
Be the first to comment on "সর্বোচ্চ আদালত যা করেন, তা-ই ন্যায়বিচার ॥ খন্দকার মাহবুব"