আলিশান বাড়িতে সপরিবারেই থাকতো জঙ্গি মুরাদ

নিউজ ডেস্ক :  পুলিশের অভিযানে নিহত নব্য জেএমবির সামরিক প্রশিক্ষক মুরাদ ওরফে মেজর মুরাদ মিরপুরের রূপনগরে আলিশান বাড়িতে সপরিবারেই বসবাস করতো। পাঁচতলা ভবনের ওপরের তলায় স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে থাকতো সে। গত ১ জুলাই সে ওই বাসায় ওঠে। এরপর ২৮ তারিখে পরিবার নিয়ে চলে যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এডিশনাল কমিশনার দিদার আহমেদ বাসার বর্ণনা দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাঁচতলার ওই বাসায় দুইটি বেড রুম, ড্রয়িং রুম ও ডাইনিং রুম রয়েছে। বাসার ভেতরে খাট ও ডাইনিং টেবিল ছাড়াও ছিল দামি সোফাসেট।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই বাড়িতে একাধিক চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় পুলিশ সম্প্রতি যে বাড়িতে অভিযান চালায় সেখানে মুরাদের নিয়মিত যাতায়াত করতো। এ পর্যন্ত মুরাদের তিনটি নাম পাওয়া গেছে- মুরাদ, ওমর ও জাহাঙ্গীর।’
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, ‘নব্য জেএমবিতে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় মুরাদকে মেজর মুরাদ নামে ডাকা হতো।
তবে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই থেকেও জানানো হয়েছে, ‘সেনাবাহিনীতে মুরাদ নামে কোনও মেজর নেই।’
ছানোয়ার হোসেন আরও জানান, ‘পাইকপাড়ার অভিযানের পরদিনই রূপনগরে অভিযান চালানো হয়। তবে তার আগেই সে পালিয়ে যায়। শুক্রবার মুরাদ ঘরের মালপত্র নিতে আসে। এ সময় বাড়িওয়ালা খবর দিলে পুলিশ অভিযান চালায়। ওই অভিযানে মৃত্যু হয় মুরাদের। আহত হন চার পুলিশ কর্মকর্তা।’
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রূপনগর আবাসিক এলাকার ৩৩ নম্বর সড়কের ৩৪ নম্বর বাসায় প্রথমে অভিযান চালায় রূপনগর থানা পুলিশ। পরে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটি) ইউনিট ও ডিবি এ অভিযানে যোগ দেয়।

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "আলিশান বাড়িতে সপরিবারেই থাকতো জঙ্গি মুরাদ"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*