লোহাগড়ায় ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে শ্রীঘরে যুবক

লোহাগড়ায় ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে শ্রীঘরে যুবক

নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইলের লোহাগড়ায় সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে আওয়ামী লীগ নেতাকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে জিয়া চৌধুরী নামের একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চরদৌলতপুর এলাকার দীনু মোল্যার মুদি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জিয়া চৌধুরীকে ওই দিন রাতেই পুলিশ পিকআপ ভ্যানে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে মো: আরজ আলী ওরফে লিচু কাজী চর-দৌলতপুর বাজার থেকে ভ্যানযোগে পাংখারচর তার নিজ বাড়িতে ফেরার পথে দ্বিন ইসলামের দোকানের সামনে পৌঁছালে অভিযুক্ত জিয়া চৌধুরী লিচু কাজীকে বহনকৃত ভ্যানের গতি রোধ করে। এ সময় দোকানটি বন্ধ এবং গ্রাম্য এলাকার মাঠের পাশদিয়ে সড়কটি হওয়ায় আশেপাশে তেমন একটা লোকজন না থাকলেও  ছিলেন সাদা পোশাকে লোহাগড়া থানার এএসআই আলমগীর ও তার সংগীয় একজন পুলিশ কনস্টেবল । জিয়া চৌধুরী কৌশলে লিচু কাজীর পাঞ্জাবির পকেটে একটি প্যাকেট ঢুকাতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধস্তা-ধস্তির প্রাক্কালে পুলিশ লিচু কাজীকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার গণমানুষ,স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে পড়লে নড়াইলের পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ব্যাপক তদন্ত করে অভিযুক্ত উপজেলার দক্ষিন লংকারচর গ্রামের আজগর চৌধুরীর ছেলে চাকুরীচ্যুত সেনা সদস্য জিয়াউর ওরফে জিয়া চৌধুরীকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। স্থানীয়দের দাবী প্রভাবশালী একটি মহল জিয়া চৌধুরীকে ব্যবহার করেছে। এর নেপথ্যের মুল পরিকল্পনাকারী ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়ে গেছে। পুলিশ সুপার প্রযুক্তির সহায়তায় নিরোপেক্ষ তদন্ত করলে থলের বিড়াল নয়,ঘরের বিড়ালও বেরিয়ে আসতে পারে।
স্থানীয়রা আরও জানান, লিচু কাজী নিম্মবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও তার ন্যায়-নিষ্ঠা ও সততার কারনে ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে। সুনাম ও পরিচিতির কারণেই তার পরিবার পরিজন এবং আত্মীয়স্বজনের জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিবেশী এক অর্থবিত্তের কালো থাবায় প্রায় দেড় যুগের অধিক সময় ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় এক ডজনের অধিক মিথ্যা মামলায় সহায় সম্বল হারিয়েও রক্ষা পাওয়া যেন দুরূহ হয়ে দাড়িয়েছে।
থানা হেফাজত থেকে বেরিয়ে লিচু কাজী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সামাজিক ভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সুপরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষরা জিয়া চৌধুরীর মাধ্যমে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সত্য উদঘাটিত হওয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত জিয়াসহ অন্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এই নেতা।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে জিয়া চৌধুরী নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে জিয়া চৌধুরীর নেপথ্যে যদি কেহ থাকে তবে সে যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হন না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। ধৃত জিয়ার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করত: আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "লোহাগড়ায় ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে শ্রীঘরে যুবক"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*