অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না এসি রবিউলের

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনাগত সন্তানের মুখ দেখার আগেই জীবন দিতে হল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর-মাদক টিমে কর্মরত পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম। শুক্রবার রাতে গুলশানের আর্টিসান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রসী হামলায় অভিযান চালাতে গিয়ে গুলিতে নিহত হন তিনি।

রাতে প্রথমে রবিউল ইসলামের আহত হওয়ার খবর পেয়ে তার আত্মীয়স্বজন সাভার থেকে রওনা দেন। তাদের মধ্যে ছিলেন রবিউলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও এক ছেলে। পথিমধ্যে তাঁরা জানতে পারেন এসি রবিউল ইসলাম মারা গেছেন। এরপর থেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজন।

রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে রবিউলের এক মামা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ভাগনেকে আল্লাহ তুলে নিছে। আমরা গুলি লাগার খবর পেয়ে সাভার থেকে রওনা দিই। পথেই জানতে পারি রবিউল মারা গেছেন।’

তিনি জানান, রবিউলের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। তার সাত বছরের একটি ছেলে আছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের কাটিবাড়ি।

পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর-মাদক টিমে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার রাতে গুলশানের সন্ত্রসী হামলায় খবর পেয়ে রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। রবিউল বিসিএস পুলিশের ৩০ তম ব্যাচের সদস্য। রবিউল পরিবার নিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে থাকতেন।

 

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না এসি রবিউলের"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*