নিউজ ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের একটি হোস্টেলে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাত থেকে সহকর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হওয়া ব্রিটিশ ব্যাকপ্যাকার টমাস জ্যাকসনও মারা গেছেন। কুইন্সল্যান্ডের পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরটি নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কুইন্সল্যান্ডের একটি হোস্টেলে হামলা হয়। হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে ডার্বিশায়ারের বাসিন্দা মিয়া আয়লিফ-চুং নিহত হন। ২১ বছর বয়সী চুং-ও একজন ব্যাকপ্যাকার। চুং কে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ৩০ বছর বয়সী জ্যাকসন আহত হন। মাথায় প্রচণ্ডরকমের আঘাত পান তিনি। পরে টাউন্সভিলে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
মিয়া আয়লিফ চুং নিহত হওয়ার পরই স্মাইল আয়াদ নামে ২৯ বছর বয়সী এক ফরাসি নাগরিককে হত্যার দায়ে এবং জ্যাকসনকে হত্যাচেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে হত্যাচেষ্টার অভিযোগকে এখন হত্যার অভিযোগ হিসেবে পরিবর্তিত করা হবে। চুংকে বাঁচাতে জ্যাকসনের চেষ্টাকে ‘নিঃস্বার্থ’ বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
জ্যাকসনের বাবা বলেন, ‘আমরা খুব বেদনা ভারাক্রান্ত অবস্থায় আছি। আমাদের প্রিয় টম আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। আমাদের পৃথিবী অসঙ্গতিপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে।’
এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে এখনও তদন্ত চলছে। ২৮ অক্টোবর স্মাইল আয়াদকে টাউন্সভিলে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করার কথা রয়েছে।
Be the first to comment on "অস্ট্রেলিয়ায় সহকর্মীর প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে আহত ব্রিটিশ তরুণের মৃত্যু"