নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ফেরদৌস আফসানার মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন।
এই বিচারের দাবিতে আজ সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের। পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেন তাঁরা। ওই সমাবেশেই ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এদিকে আফসানার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে কাফরুল থানার পুলিশ।
ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী আফসানার মৃত্যুর ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়ে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। সচিবালয় বরাবর জাতীয় প্রেসক্লাবের কোনায় পুলিশের ব্যারিকেড সরাতে গেলে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনেই সমাবেশ করে ছাত্র ইউনিয়ন। সমাবেশে আফসানার মৃত্যুর জন্য ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমানকে দায়ী করে তাঁর শাস্তি দাবি করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন সময়ে নানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তাঁরা অভিযোগ করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কখনো সেসব বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেন না। আফসানা হত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছবি প্রকাশ হয়েছে। নিজের লোক বলেই হয়তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
বক্তারা আরও বলেন, যত দিন ছাত্র ইউনিয়ন টিকে থাকবে, তত দিন এ হত্যার শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চলবে। হত্যার বিচার না হলে এ সরকারকে এরশাদ সরকারের মতো টেনে নামানো হবে।
পুলিশের বাধার সম্মুখীন হওয়ার আগে ছাত্র ইউনিয়নের মিছিল। ছবি: ফোকাস বাংলাগত শনিবার বিকেলে আফসানার লাশ মিরপুরের আল-হেলাল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় দুই যুবক। পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়, তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হত্যা করেছেন আফসানাকে।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মো. শামীম হোসেন আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেছেন, তদন্তে এখনো বলার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি। গত রোববার আফসানার ফরেনসিক ও ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা দুই জায়গায় পাঠানো হয়েছে। এখনো এর প্রতিবেদন পুলিশের হাতে এসে পৌঁছায়নি।
Be the first to comment on "আফসানার মৃত্যুর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন"