শিরোনাম

ইংল্যান্ডের আশা, সব খেলোয়াড় যাবে বাংলাদেশে

নিউজ ডেস্ক : এখনও হাতে সময় আছে। বাংলাদেশে পা রাখার তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা তাই এই সফরের বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করার সময় পাচ্ছেন। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড ইসিবির ক্রিকেট পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রস মনে করেন, তাদের সব খেলোয়াড়ই বাংলাদেশে যাবেন।

খেলোয়াড়দের বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সব খুলে বলেছে ইসিবি। সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে। এরপরও কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে স্ট্রসের দরজা খোলা। তারপরও বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখবে ইসিবি। নির্ধারিত এই সফরে কোনো খেলোয়াড়ের না যাওয়ার যেকোনো কারণ নেই তা স্ট্রসের কথায় স্পষ্ট, “আমরা তো আসলে কারো কাছে এটা জানতে চাইনি যে তারা যাবে কি না। আমরা সেই পরিস্থিতিতে নেই। এটা নিরাপদ সফর এবং খেলোয়াড়দের তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। আমি শতভাগ নিশ্চিত যে এটাই ঠিক।”

তাহলে কারো কি ভয় পেয়ে বাংলাদেশ সফরে না যাওয়ার কারণ আছে? স্ট্রস বলছেন, “এই সফর নিরাপদ এবং তা খেলোয়াড়দের বোঝানোর দায়িত্ব আমাদের। আমার আশা, গোটা দলই বলবে ‘চলো যাই’ একটা দল হিসেবে।” তারপরও কোনো খেলোয়াড় ভয়ের মধ্যে থাকলে এবং না যেতে চাইলে সেই সিদ্ধান্ত তার। স্ট্রস যেমন বললেন, “আমরা কাউকে সফরে যেতে জোর করতে পারি না, জোর করতেও চাই না। এই সফরে না যাওয়ার অবশ্য কোনো কারণ নেই।”

স্ট্রসের মনে আছে ২০০৮ ভারত সফরের কথা। বর্তমান অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকও তখন দলে। কেভিন পিটারসেন অধিনায়ক। দুই টেস্ট খেলে ইংল্যান্ড দল দেশে ফিরেছিল। তখন মুম্বাইয়ে বোমা হামলা হয়েছিল। তারপরও ইংলিশ দল ভারতে ফিরেছিল। বর্তমান দলের জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড ছিলেন সেই দলে।

বাংলাদেশ তো ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ কোনো ঝামেলা ছাড়াই আয়োজন করেছে। তাদের ওপর তাই ইংল্যান্ড ভরসা করছে। এই সফরে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডের সিরিজ খেলে ২ নভেম্বর ভারতে যাবে ইংলিশ দল।

 

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "ইংল্যান্ডের আশা, সব খেলোয়াড় যাবে বাংলাদেশে"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*