নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ডা. এইচবিএম ইকবালের স্ত্রী ও তাদের ৩ সন্তানকে ৩ বছর করে কারাদণ্ডের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত ও রুল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে দুদকের আবেদন নিষ্পত্তি করে আদালত এই আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে আইনের দৃষ্টিতে তারা এখন পলাতক। তাদেরকে যে কোনো মুহূর্তে দুদক গ্রেফতার করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন। তবে সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে তারা আপিল করতে পারবে বলেও জানান তিনি। আজ রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
আদালতে দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান এবং ইকবালের পরিবারের সদস্যদের পক্ষে ছিলেন এ এফ হাসান আরিফ ও কামরুল হক সিদ্দিকী। ইকবালের পরিবারের চার সদস্য হলেন তার স্ত্রী মমতাজ বেগম ডলি, ছেলে মইনউদ্দিন ইকবাল ও ইমরান ইকবাল এবং মেয়ে নওরীন ইকবাল। মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এইচ বি এম ইকবাল পরিবারকে দুদক সম্পত্তির বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়। পরে অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে একই বছর ২৭ মে মামলা করে দুদক। বিশেষ জজ আদালত মামলার রায় দেন ২০০৮ সালের ১১ মার্চ।
রায়ে এইচ বি এম ইকবালকে অসাধু উপায়ে সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছর, মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিলের কারণে আরও ৩ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে ৩ বছর করে কারাদণ্ড দেন এবং প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। আদালতের নির্দেশে এইচ বি এম ইকবাল ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। নিম্ন আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। এইচ বি এম ইকবাল এ মামলা থেকে খালাস চেয়ে আবেদন করেন। ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাকে খালাস দেন। ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে আপিল না চালাতে আবেদন করে দুদক।
বাকিরা আত্মগোপনেই ছিলেন। তবে হাইকোর্টে তাদের সাজার কার্যকারিতা স্থগিত হয়, যার মেয়াদ শেষ হয় ২০১০ সালের নভেম্বরে। ছয় বছর চুপচাপ থেকে নতুন করে স্থগিতাদেশ চাইলে গত ১৮ অক্টোবর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ সাজা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। ১৬ নভেম্বর চেম্বার জজ আবেদনটি শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেন করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আপিল বিভাগ দুদকের আবেদন নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
Be the first to comment on "ইকবালের স্ত্রী সন্তানদের গ্রেপ্তার করতে পারবে দুদক"